সিলেট সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র পদে দায়িত্ব পালনে আইনি জটিলতার অবসান হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্যানেল মেয়র-১ রেজাউল হাসান কয়েস লোদী। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের একটি রেস্তোরাঁর সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কয়েস লোদীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী উপস্থিত হয়ে ভারপ্রাপ্ত মেয়র পদে প্যানেল মেয়র-১-এর দায়িত্ব পালনে আর কোনো আইনি জটিলতা নেই বলে জানিয়েছেন।
সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ১৫ জুন সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের পর নির্বাচিত কাউন্সিলরদের প্রথম সভা হয় ৯ অক্টোবর। এতে কাউন্সিলরদের গোপন ভোটে প্যানেল মেয়র-১ নির্বাচিত হন ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী। হবিগঞ্জে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার অধিকতর তদন্তের পর সম্পূরক অভিযোগপত্রে (চার্জশিট) সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী অভিযুক্ত হলে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর কারাবন্দী হন। ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি আরিফুল মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হন।
মেয়রের অবর্তমানে বিধি অনুযায়ী প্যানেল মেয়র-১ ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করার কথা থাকলেও কাউন্সিলরদের দেওয়া অনাস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন প্যানেল মেয়র-২ সালেহ আহমদ। কয়েস লোদী এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন নিয়ে প্যানেল মেয়র-১ ও প্যানেল মেয়র-২-এর দায়ের করা দুটি রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ যে রায় দেন, সেই রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি ২২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়েছে।
এর মধ্য দিয়ে আইনি জটিলতার অবসান হয়েছে জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী বলেন, পূর্ণাঙ্গ রায় হওয়ায় আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ প্রদান করেছেন আদালত। ২৯ ফেব্রুয়ারি নাগাদ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে রায়ের কপি পৌঁছাবে। ১৫ দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয় সিলেট সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়রের বিষয়টি নিয়ে তাঁদের সিদ্ধান্ত জানাবে।