আইসিটি ক্যাডার বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার: জুনাইদ

জুনাইদ আহমেদ

গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরাম ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত তথ্যপ্রযুক্তির একটি পেশাগত সংগঠন। বর্তমানে ১ হাজার ৬০০ সদস্য রয়েছেন।
গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরামের আয়োজনে গতকাল শনিবার রাতে ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ও ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ। জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আইসিটিতে দক্ষ জনশক্তির বিকল্প নেই। সরকার এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বমানের প্রযুক্তিবিদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট ফর ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজিস (শিফট) প্রতিষ্ঠা করছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সব অর্জনকে সমুন্নত রাখতে, ডিজিটাল নেতৃত্ব তৈরি করতে আইসিটি ক্যাডার বাস্তবায়নের জন্য কাজ চলমান। ইতিমধ্যে আইসিটি ডিভিশন থেকে আইসিটি ক্যাডার তৈরির সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। আমরা আশা করছি, অচিরেই আইসিটি ক্যাডার বাস্তবায়িত হবে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, তথা প্রযুক্তির বিপ্লবে ডিজিটাল বাংলাদেশ নেতৃত্ব দিচ্ছে। ফলে এই কোভিড-১৯ মহামারিতেও শিক্ষা, ব্যবসা, স্বাস্থ্য ও কৃষি সচল রাখা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, দ্রুততম সময়ে আইসিটি ক্যাডার বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইসিটি ডিভিশনের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, জাতির জনকের স্বপ্নপূরণে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে আইসিটি অন্যতম হাতিয়ার। দেশকে সত্যিকার অর্থে ডিজিটাল সার্ভিস দিতে হলে আইসিটিতে সুসংগঠিত একটি সরকারি কাঠামো থাকা দরকার। যা ক্যারিয়ার, দক্ষতা উন্নয়ন ইত্যাদি ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করবে। এসব বিষয় চিন্তা করেই আইসিটি ক্যাডার সৃষ্টির পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

ডাক অধিদপ্তরের প্রোগ্রামার মো. মনিরুজ্জামানের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির প্রেসিডেন্ট হাফিজ মো. হাসান বাবু। মো. তমিজ উদ্দীন আহমেদ অনুষ্ঠানে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।