আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় জনবল নিয়োগে নীতিমালা প্রণয়ন কেন নয়

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় জনবল নিয়োগে নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় জনবল নিয়োগে নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে মানিক কুমার মণ্ডলসহ ৫৪ ব্যক্তি চলতি মাসের শুরুতে ওই রিটটি করেন। রিট আবেদনকারীরা মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক পদে ২০১৮ সালে নিয়োগ পান। পরবর্তী সময়ে গত বছরের জুলাই মাসে চাকরির মেয়াদ শেষ হয়। এ অবস্থায় নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে তাঁরা রিটটি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

পরে আইনজীবী মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০১৭ সালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় নিয়োগপ্রাপ্তদের ভবিষ্যৎ সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে আলোচনা হয়। সেখান কোম্পানির স্বেচ্ছাচারিতার কারণে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা ক্ষতিগ্রস্ত হন বলে অভিমত দেওয়া হয়। অথচ এখন পর্যন্ত আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় চাকরির ভবিষ্যৎ নিয়ে নীতিমালা হয়নি। এ কারণে নির্দিষ্ট সময় পরে চাকরি হারিয়ে তাঁরা অসহায় হয়ে পড়েন। যে কারণে নীতিমালা প্রণয়নে নির্দেশনা প্রণয়ন চেয়ে রিটটি করা হলে শুনানি নিয়ে আদালত ওই রুল দেন।’