আজহারুল কারাগারে, আমির হামজার স্বীকারোক্তি

প্রতীকী ছবি

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল ইসলামকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিকে আলোচিত ধর্মীয় বক্তা মুফতি আমির হামজা দারুস সালাম থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় আজ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আদালত সূত্র জানায়, যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আজহারুল ইসলামকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. পারভেজ জামিন আবেদন করেন।

তিনি আদালতকে বলেন, এজাহারে আসামির নাম নেই। ঘটনার তিন মাস পর গ্রেপ্তার করে তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে ১৫ জুন ভোরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ডিবি যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরবিরোধী বিক্ষোভের সময় সহিংসতার ঘটনায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আমির হামজার জবানবন্দি

রাজধানীর দারুস সালাম থানায় করা সন্ত্রাস বিরোধী আইনের একটি মামলায় দুই দিনের রিমান্ড শেষে আজ মুফতি আমির হামজাকে আদালতে হাজির করা হয়। তিনি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করে মামলার তদন্ত সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ২৪ মে বিকেলে কুষ্টিয়া থেকে আমির হামজাকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি ইউনিট।

পরদিন সংবাদ ভবনে খোলা তলোয়ার নিয়ে হামলার পরিকল্পনায় অভিযোগে করা মামলায় আদালত তাঁর ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ৩১ মে মুফতি আমির হামজা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই ছিলেন। পরে দারুস সালাম থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ।