আজ পঁচিশে বৈশাখ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

পঁচিশে বৈশাখ আজ। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অনন্য পুরুষ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৬তম জন্মবার্ষিকী। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের (১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দ) পঁচিশে বৈশাখ কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুরবাড়িতে কবির জন্ম। বরাবরের মতোই আজ সারা দেশে আনন্দঘন পরিবেশে উদ্যাপিত হবে কবিগুরুর জন্মদিনের উৎসব।
রবীন্দ্রনাথের রচনা সম্ভার বিপুল, বৈচিত্র্যময়। সাহিত্যের প্রায় সব শাখায়ই ছিল তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি। বিস্ময়কর সৃজনী প্রতিভা দিয়ে তিনি সমৃদ্ধ করেছেন বাংলা সাহিত্যকে। তাঁর কবিতা, ছোটগল্প, প্রবন্ধ, নাটক, সংগীত, শিশুতোষ রচনা, পত্রসাহিত্য বাংলা সাহিত্যের অমর সংযোজন।
১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি নোবেল পুরস্কার পেলে বিশ্বসাহিত্যে বাংলা ভাষা পায় গৌরবময় সম্মান। স্বকীয় নান্দনিক ভাবনায় তিনি সমৃদ্ধ করেছেন চিত্রকলাকেও। তাঁর লেখা গান আমাদের জাতীয় সংগীত। বাঙালির মহান মুক্তিসংগ্রামে রবীন্দ্রনাথের গান জুগিয়েছে প্রেরণা।
কীর্তিময় জীবনে সাহিত্য-সংস্কৃতির বাইরেও তাঁর গতিময় জীবনের দেখা পাওয়া যায়। সাংগঠনিক কাজ ও সামাজিক উদ্যোগে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন অগ্রণী। কৃষক ও পল্লি উন্নয়নের কথা ভেবে তিনি চালু করেছিলেন কৃষিঋণ-ব্যবস্থা। শিক্ষা নিয়ে ভেবেছেন। প্রতিষ্ঠা করেছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।
বাণী
রবীন্দ্রনাথের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ মানবতাবাদী ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার কবি। জীবনের আনন্দ-বেদনা, আশা-নিরাশা, সংকট-সাফল্যে, উৎসব-পার্বণে রবীন্দ্রনাথ বাঙালির পরম আশ্রয়। পৃথক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ও বাঙালির অহংকার। আমাদের মননে বিশ্বকবির ব্যঞ্জনাময় উপস্থিতি শোষণ, বঞ্চনা, সাম্প্রদায়িকতা, সহিংসতা ও অমানবিকতা প্রতিরোধের মাধ্যমে বাঙালির অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখবে।’