আট জেলায় বন্যার আশঙ্কা

ফাইল ছবি

রাজধানীর খটখটে রোদ আর সাদা মেঘের ওড়াউড়ি চলছে। দেশের উজানে ভারতীয় অংশেও তুমুল বৃষ্টি চলছে না, আগামী কয়েক দিন তেমন বৃষ্টির আশঙ্কাও নেই। কিন্তু দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের নদ–নদীগুলোর পানি বৃষ্টিহীন এ সময়েই দ্রুত বাড়ছে। এরই মধ্যে দেশের প্রধান তিন নদী অববাহিকা ব্রহ্মপুত্র–যমুনা ও পদ্মা নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। তিস্তা নদীর পানি বেড়ে স্থিতিশীল আছে।

পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস বলছে, দেশের আটটি জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, কুষ্টিয়া, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও শরীয়তপুরে নিম্নাঞ্চলে পানির উচ্চতা বেড়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হতে পারে। যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ও ধলেশ্বরী নদীর টাঙ্গাইলের এলাসিন পয়েন্টে আজকের মধ্যে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে যেতে পারে।

গত এক সপ্তাহ আগের তুলনায় বৃষ্টি কম থাকার পরও দেশে কেন বন্যার পানি বাড়ছে, তা সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের কাছে জানতে চাওয়া হয়। উত্তরে সংস্থাটির বন্যা পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা জানান, মূলত উজান থেকে আসা পুঞ্জিভূত পানি ঢল হয়ে এখন ভাটির এলাকা বাংলাদেশের দিকে আসছে। বিশেষ করে গঙ্গা–পদ্মা ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় পানি দ্রুত বাড়ছে। আগামী এক সপ্তাহ পানি আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছে সংস্থাটি।

ফাইল ছবি

এ ব্যাপারে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণত জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে দেশে এক দফা বন্যা হয়। আগস্টের শেষের দিকে আরেক দফা হয়। এবার এখনো বন্যা পুরোদমে শুরু হয়নি। তবে যেভাবে নদ–নদীর পানি বাড়ছে, তাতে চলতি মাসের বাকি সময়জুড়ে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আগামী দুদিন পর দেশের বেশির ভাগ এলাকায় বৃষ্টি বাড়তে পারে। বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের কারণে মৌসুমি বায়ু কিছুটা দুর্বল অবস্থায় থাকায় বৃষ্টি কম হয়েছে। এখন আবারও মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হয়ে উঠায় বৃষ্টি বাড়তে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, আগস্টে এমনিতেই বৃষ্টি কমে আসে। তবে আকাশে মেঘ কম থাকায় রোদ বেড়ে তাপমাত্রা বাড়ছে। আগামী দু–এক দিনের মধ্যে মেঘ ও বৃষ্টি দুটিই বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবমতে, গতকাল শনিবার দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে বাগেরহাটের মোংলায় ৩৩ মিলিমিটার। আর রাজধানীতে ৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।