আরও একজন গ্রেপ্তার, কারাগারে

টাঙ্গাইলে যুবলীগের দুই নেতা হত্যা ও লাশ গুমের মামলায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গত বুধবার আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অশোক কুমার সিংহ বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম সুব্রত পাল। তিনি জেলা শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার স্বপন পালের ছেলে। তদন্তে ঘটনার সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এ কারণে বুধবার বিকেলে জেলা সদর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন মিয়া (২৫) ও কর্মী মোহাম্মদ শামীম (২৮) ২০১২ সালের ১৬ জুলাই সকালে পিচুরিয়া গ্রামের বাড়ি থেকে টাঙ্গাইল শহরের উদ্দেশে বের হন। এরপর তাঁদের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় শামীমের মা আছিয়া খাতুন পরদিন সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ঘটনার এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই মামুনের বাবা আবদুল আজিজ টাঙ্গাইল বিচারিক হাকিমের আদালতে মামলা করেন। এতে স্থানীয় সাংসদ আমানুর রহমান খান রানার ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত আতিকুল ইসলাম ওরফে মোর্শেদসহ আওয়ামী লীগের ১৩ জনকে আসামি করা হয়। পরে ডিবিকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা অশোক কুমার সিংহ বলেন, এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া খন্দকার জাহিদুল ইসলাম ও শাহাদত হোসেন হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাঁদের স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, নিখোঁজ হওয়ার দিন মোর্শেদের অফিসে উচ্চ শব্দে সাউন্ডবক্স বাজিয়ে শামীম ও মামুনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে লাশ বাসাইল উপজেলার নথখোলায় নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।