আ.লীগের পদ হারালেন হেলেনা জাহাঙ্গীর

হেলেনা জাহাঙ্গীর।
ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগের উপকমিটির সদস্যপদ হারিয়েছেন। দলটির মহিলাবিষয়ক উপকমিটির সদস্যপদ থেকে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটির সদস্যপদ থেকে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে অব্যাহতি দিয়ে আজ রোববার আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটি দিয়েছেন উপকমিটির সদস্যসচিব ও আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হেলেনা জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ছিলেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত তাঁর সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড সংগঠনের নীতি বহির্ভূত হওয়ায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটির সদস্যপদ হতে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

আজ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আগে গতকাল শনিবার রাতে মেহের আফরোজ প্রথম আলোকে বলেছিলেন, হেলেনা জাহাঙ্গীর উপকমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে পারছেন না। তাঁর কিছু কিছু কাজ সংগঠনকে বিব্রত করছে। এ জন্য তাঁকে উপকমিটির সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে তা জানানো হবে।

জয়যাত্রা টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও হেলেনা জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য হয়েছিলেন গত ১৭ জানুয়ারি। তার আগে ২০২০ সালের ডিসেম্বরের দিকে তিনি কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হন। আবদুল মতিন খসরু মারা গেলে ওই আসনে মনোনয়নের জন্য দলীয় ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। তবে মনোনয়ন পাননি।

কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রুহুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরাও উপদেষ্টা পরিষদের পদ থেকে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ বিষয়ে গত মাসেই দপ্তর থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র জানায়, হেলেনা জাহাঙ্গীরের রাজনীতি নিয়ে দলের ভেতরে অনেকেই প্রশ্ন তুলে আসছিলেন। একেক সময় একেক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে তাঁর ছবি প্রকাশিত হতে দেখা যায়। তারপরও তাঁকে উপকমিটির সদস্য করা নিয়ে সমালোচনা করেন কোনো কোনো নেতা। একই সূত্র বলেছে, হেলেনা জাহাঙ্গীরকে উপকমিটিতে যুক্ত করার জন্য বেশ কজন কেন্দ্রীয় নেতা ও মন্ত্রী সুপারিশ করেছিলেন। এ জন্যই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দৃশ্যমান কোনো তৎপরতা না থাকার পরও তাঁকে সদস্য করা হয়েছিল।

সম্প্রতি ফেসবুকে নেতা বানানোর ঘোষণা দিয়ে ছবি পোস্ট করে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে সংগঠনটির জেলা, উপজেলা ও বিদেশি শাখায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। কথিত এই সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে হেলেনা জাহাঙ্গীর ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মাহবুব মনিরের নাম উল্লেখ করা হয়।