
প্রতিদ্বন্দ্বীরা টিআইবিকে অর্থ দিয়ে লেখায়—বাণিজ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘এটা একটা যুক্তিহীন কথা। সরকারের অনুমতি ছাড়া টিআইবি একটি পয়সাও সংগ্রহ করে না, খরচও করে না। টিআইবির আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রতিবছরই সরকারের কাছে দাখিল করা হয়।’
সংস্থাটির গবেষণা প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন পক্ষ থেকে যে প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে সেই বিষয়ে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে গতকাল শনিবার টিআইবির বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘টিআইবির প্রতিটি কাজেরই একটি লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য থাকে। পোশাক খাত নিয়ে সাম্প্রতিক গবেষণাটির মূল উদ্দেশ্য ছিল এ খাতের চলমান অগ্রগতির পথে যেসব প্রতিবন্ধকতা বা চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করা। সেই কাজটিই আমরা আমাদের গবেষণার মাধ্যমে করেছি। আমরা এ খাতের মঙ্গল চাই, এর অব্যাহত ইতিবাচক অগ্রগতিও দেখতে চাই।’
গবেষণার মান ও পদ্ধতি সম্পর্কে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, বিশ্বজুড়েই সব ধরনের গবেষণা-পদ্ধতি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তারপরও বিভিন্ন গবেষণার আন্তর্জাতিক স্বীকৃত পদ্ধতি আছে। আমাদের গবেষণাটি ছিল একটি গুণগত গবেষণা। এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ও জাতীয়ভাবে স্বীকৃত যে পদ্ধতি রয়েছে, সেটিই অনুসরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার টিআইবি একটি গবেষণার তথ্য প্রকাশ করেছে। সেখানে পোশাক খাতে ১৬ ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়ম হয় বলে উল্লেখ করা হয়।