ইঁদুর ৬০ ধরনের মারাত্মক রোগ বহন করে

ইঁদুর প্রায় ৬০ ধরনের মারাত্মক রোগ বহন করে। বাঁশগাছের বীজ নষ্ট, মাটির ঘর ছিদ্রকরণসহ ভয়াবহ প্লেগ রোগ ও মানুষের বাতজ্বরের জন্য এরা দায়ী। সাধারণত মানুষ ইঁদুরের সংস্পর্শে গেলে নিঃশ্বাসের মাধ্যমে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
‘গুদামজাত শস্যের ক্ষতি হ্রাসে ইঁদুরনাশকের ব্যবহার ও প্রতিরোধ’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলা হয়। গতকাল বুধবার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। নেদারল্যান্ডস অর্গানাইজেশন ফর সায়েন্টিফিক রিসার্চের অর্থায়নে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও এইড-কুমিল্লা এর আয়োজন করে।
সেমিনারে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন এবং প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শাদাত উল্লা। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন নেদারল্যন্ডসের ওয়াগিনিনগিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মিরবার্গ বাস্টিয়ান গিজিলি ও যুক্তরাজ্যের গ্রিনউইচ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্টিভেন আর বেলমেইন। এ ছাড়া বক্তব্য দেন এইড-কুমিল্লার নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া বেগম, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক হজরত আলী এবং প্রাণিবিদ্যা ও পশুচিকিৎসা অনুষদের ডিন আনোয়ারুল হক বেগ। অধ্যাপক স্টিভেন আর বেলমিন বলেন, ইঁদুর খেয়ে যতটা না নষ্ট করে, তার চেয়ে ৫-১০ গুণ বেশি নষ্ট করে গর্তে নিয়ে, মাটিতে মিশিয়ে, পশম ও প্রস্রাব সংক্রমণের মাধ্যমে। বক্তারা ইঁদুরনিধনে বিষপ্রয়োগ না করে ফাঁদ-প্রযুক্তি ব্যবহারের দিকে গুরুত্ব দেন।