ইভ্যালির রাসেল-শামীমাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

১৬ সেপ্টেম্বর মো. রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়ফাইল ছবি

প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর ধানমন্ডি থানার এক মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তাঁর স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন (সিএমএম) আদালত আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাসেলের আইনজীবী মনিরুজ্জামান আসাদ।

আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রতারণার মাধ্যমে ৮৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মুজাহিদুর রহমান নামের এক গ্রাহকের করা মামলায় রাসেল ও শামীমাকে আজ আদালতে হাজির করে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ধানমন্ডি থানার পুলিশ। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে রাসেল ও শামীমাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করেন। তাঁদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁদের জামিনের আবেদনও নাকচ করেন।

২২ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে সিএমএম আদালতে মামলা করেন মুজাহিদুর। আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার জন্য ধানমন্ডি থানাকে নির্দেশ দেন।

মামলায় মুজাহিদুর অভিযোগ করেছেন, দুই টন এসি ও একটি কাঠের টি-টেবিলের জন্য তিনি ইভ্যালিতে ক্রয়াদেশ দেন। গত বছরের ১১ জুলাই তিনি টাকা পরিশোধ করেন। পণ্য দুটি ৪৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি দেওয়ার কথা থাকলেও আসামিরা তা করেননি।

এদিকে, ২৭ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির রাসেল, শামীমাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে একটি মামলা করেন আলমগীর হোসেন নামের এক আইনজীবী। আদালত মামলাটি তদন্ত করে খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

মামলায় আলমগীর অভিযোগ করেছেন, গত ৩০ এপ্রিল একটি মোটরবাইক কেনার জন্য তিনি ইভ্যালিতে ক্রয়াদেশ দেন। গত ৩ মে তিনি টাকা পরিশোধ করেন। তবে ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ এখনো তাঁর মোটরসাইকেল দেয়নি।

আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত গুলশান থানায় একটি ও ধানমন্ডি থানায় দুটি মামলা হয়েছে। আর আদালতে মামলা হয়েছে দুটি।

১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাসা থেকে রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। রাসেলকে দুই দফা ও শামীমাকে এক দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। দুজনই এখন কারাগারে আছেন।