ইশতেহারে 'সমাধানযাত্রা' দিলেন আনিসুল
নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী আনিসুল হক। ইশতেহারে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ঢাকার বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে তার সমাধানের উপায় তুলে ধরেন তিনি। এটিকে তিনি ‘এবারের সমাধানযাত্রা’ হিসেবে চিহ্নিত করেন।
আজ শনিবার রাজধানীর লোটাস কামাল টাওয়ারে আনিসুল হক নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন। দুটি পর্বে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী আনিসুল হক ইশতেহার পড়ে শোনান। ইশতেহারে পরিচ্ছন্ন-সবুজ-আলোকিত-মানবিক ঢাকা গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেন তিনি।
পরে তিনি তুলে ধরেন ‘এবারের সমাধানযাত্রা’। পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ঢাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বায়ুদূষণ, পরিবহন, স্বাস্থ্য ও বিনোদন সমস্যা চিহ্নিত করেন। পরে এসব সমস্যার সমাধান কী হবে তা দেখান।
আনিসুল হক জানান, বিশেষ একটি ওয়েবসাইটে মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ নিজেদের এলাকার সমস্যা তাঁকে জানাতে পারবেন। প্রতিকার চাইতে পারবেন। মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হলে তিনি সেগুলো প্রকাশ করবেন ও সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন।

মেয়রপ্রার্থী আনিসুল হক বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এ সময় তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, সিটি করপোরেশনের বাজেট স্বল্প। সরকারের ওপর নির্ভর করতে হয়। পাঁচ বছরে এসব সমস্যার সমাধান কি সম্ভব? উত্তরে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের ২৮ ধরনের কাজের সঙ্গে সরকারের ৫৬টি সংস্থা জড়িত। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত। তিনি উদ্যোগী। মনোভাব ইতিবাচক। তাই পাঁচ বছরের মধ্যে সমস্যার সমাধান করা কঠিন নয়।
আইনি সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে আনিসুল হক জানান, একজন মেয়র তাঁর ব্যক্তিত্ব, নেতৃত্ব, পরিকল্পনা ও লক্ষ্য দিয়ে নগরে অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে টাকা বড় সমস্যা নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
দৃপ্ত কণ্ঠে এই মেয়র পদপ্রার্থী বলেন, ‘আমার লক্ষ্য নির্দিষ্ট। পরিকল্পনা স্বচ্ছ। ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। জানি কীভাবে প্রতিকূলতা পরাস্ত করতে হয়। সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হয়। জীবন থেকে অর্জিত সব অভিজ্ঞতা আমি সিটি করপোরেশনের উন্নয়নে কাজে লাগাতে চাই।’
সিটি করপোরেশন রাজনৈতিক পেশিশক্তি ও দুর্নীতির জায়গা। এর মধ্যে কাজ করা সম্ভব বলে মনে করেন কি-না জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, ‘দুর্নীতির সঙ্গে আমার চিরকালের শত্রুতা। এর সঙ্গে অতীতে আপস করিনি। ভবিষ্যতেও করব না। নির্বাচিত হলে সিটি করপোরেশনের সব সেবা পর্যায়ক্রমে দুর্নীতিমুক্ত হবে।’ পেশিশক্তি, মাস্তানি, অনৈতিক প্রভাববলয় থেকে সিটি করপোরেশনকে মুক্ত রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন বলেও জানান আনিসুল হক।
আনিসুল হক নির্বাচনী প্রতীক ‘টেবিল ঘড়ি’ পেয়েছেন। উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদের ভোটযুদ্ধে এখন লড়বেন ১৬ জন। গত বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন সারাহ্ বেগম কবরী, ববি হাজ্জাজ ও মোস্তফা কামাল আজাদী।