উচ্চ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন শাক-সবজি নিয়ে সমীক্ষা
বাড়ির আঙিনায় চাষ করে পরিবারের সদস্যদের পুষ্টি ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভব এমন শাক-সবচি নিয়ে 'জয়েন্ট অ্যাকশান ফর নিউট্রিশন আউটকাম (জানো)' প্রকল্পের আওতায় সম্প্রতি একটি সমীক্ষা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার অনলাইনে আয়োজিত এক সেমিনারে (ওয়েবিনার) সমীক্ষার ফলাফলটি উত্থাপন করা হয়।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, গাজর, মিষ্টি কুমড়া, সবুজ ও লাল শাক, টমেটো, শিম, ভেন্ডি প্রভৃতি শাক-সবজি খুবই পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। বাড়ির আঙিনায় এসব শাক-সবজি চাষ করে পরিবারের সদস্যদের পুষ্টিমান নিশ্চিত করার পাশাপাশি বাজের বিক্রি করেও ভালো দাম পাওয়া যায়। সমীক্ষায় নিরাপদ পানি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, পয়ঃনিষ্কাষন সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় সেবার বিষয়টিও উঠে এসেছে।
জানো প্রকল্পে অর্থায়ন করছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও সহ-অর্থায়নে রয়েছে অস্ট্রিয়ান ডেভলপমেন্ট কোঅপারেশন। প্রকল্পটি কেয়ার, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল ও ইকো সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)এর একটি কনসর্টিয়াম প্রকল্প।
গতকালের ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুল মুয়ীদ। এছাড়াও আলোচনায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধি, সমীক্ষার বিষয়ের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, উন্নয়ন সহযোগীসহ অনেকেই যুক্ত ছিলেন।
আলোচনায় বক্তারা নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেন এবং সমীক্ষায় সুপারিশ করা বিষয়ের পাশাপাশি কম মূল্যমানের উচ্চপুষ্টিমান সম্পন্ন পন্য যেমন সজনে পাতা, মিষ্টি আলু, ডিম ও ফর্টিফাইড শষ্যেরকথা বিবেচনা করতে জানো প্রকল্পকে পরামর্শ দেন।
সংশ্লিষ্টরা জনিয়েছেন, জানো প্রকল্পের মাধ্যমে রংপুর ও নীলফামারী জেলায় ২ লাখ ৭৫ হাজার ৪১৫ জন গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মা, এবং ১ লাখ ৯০ হাজার ৩২২ জন পাঁচ বছরের নিচে শিশুদের পুষ্টিরক্ষেত্রে নিরাপদ তথ্য ও টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য ৬৪টি ইউনিয়ন পরিষদ, ২৭৩ টি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ৩৩০ টি স্কুলের সাথে নিবিড় ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।প্রকল্পটি সরকারের জাতীয় পুষ্টি পরিকল্পনা-২ অর্জনেও সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। বিজ্ঞপ্তি।