উত্তরায় একসঙ্গে ২৩ সড়কে সংস্কার

উত্তরায় ৬ নম্বর সেক্টরের ঈশা খাঁ অ্যাভিনিউয়ের প্রায় মধ্যভাগে, বাংলাদেশ কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালের পশ্চিম পাশ বরাবর ড্রেনের লাইনে পাইপ বসানোর কাজ চলছে। ছবিটি গতকালের l প্রথম আলো
উত্তরায় ৬ নম্বর সেক্টরের ঈশা খাঁ অ্যাভিনিউয়ের প্রায় মধ্যভাগে, বাংলাদেশ কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালের পশ্চিম পাশ বরাবর ড্রেনের লাইনে পাইপ বসানোর কাজ চলছে। ছবিটি গতকালের l প্রথম আলো

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অধীনে ‘রাস্তা, ড্রেন ও ফুটপাত মেরামত এবং সংস্কার’ প্রকল্পের আওতায় উত্তরায় ২৩টি সড়কের বিভিন্ন অংশে সংস্কার চলছে। ডিএনসিসি সূত্র বলছে, চার মাসের মধ্যেই সব সড়কের সংস্কার শেষ হবে।
সূত্র জানায়, প্রকল্পের কাজ চলবে উত্তরার ১ থেকে ১৪ নম্বর পর্যন্ত প্রতিটি সেক্টরে। কাজ হবে দুই ধাপে। প্রথম ধাপে ৩ থেকে ৭ এবং ৯ ও ১০ নম্বর সেক্টরের ২৩টি সড়কের কাজ শুরু হয়েছে। এতে সড়কগুলো প্রশস্তকরণ ও সংস্কার, ড্রেনলাইনে পাইপ বসানো, সড়ক বিভাজক, ড্রেন সংস্কার এবং ফুটপাত নির্মাণ করা হবে। প্রকল্প পরিচালক আরিফুর রহমান (পিডি) জানান, ফুটপাত সমস্যা, জলাবদ্ধতা নিরসনসহ নানামুখী উদ্যোগের এই প্রকল্পের কাজ আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই শেষ হবে। ডিএনসিসি মেয়র আনিসুল হকের নির্দেশ অনুযায়ী সেভাবেই প্রকল্পের নকশা করা হয়েছে।
প্রকল্পের ব্যয় ১২০ কোটি টাকা। পুরো কাজ সম্পন্ন হবে দুই বছরে। ১৭টি প্যাকেজে সাজানো হয়েছে কাজের পরিকল্পনা। প্রকল্প পরিচালক বলেন, ‘প্রথমে অর্ধেক কাজের টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। বাকি অংশের টেন্ডার পরিকল্পনার খসড়া তৈরির কাজও শুরু হয়ে গেছে। চলমান কাজ দেখাশোনা করছেন আঞ্চলিক (১) নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও তাঁর দল।’
গতকাল শনিবার কয়েকটি সেক্টর ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকেরা রাস্তা প্রশস্তকরণ ও সংস্কার, ফুটপাত নির্মাণ এবং ড্রেন সংস্কারের কাজ করছেন। রাস্তার পাশে রাখা আছে নির্মাণসামগ্রী ও কাজের সরঞ্জাম। সড়কগুলোর বিভিন্ন অংশে সংস্কার চলায় যাতায়াতে সাময়িক সমস্যা হচ্ছে। তবে এ নিয়ে স্থানীয় ব্যক্তিদের মধ্যে তেমন অভিযোগ নেই। স্থানীয় কয়েকজন জানান, সড়ক, ড্রেন ও ফুটপাত সংস্কার হলে সেক্টরবাসীই উপকৃত হবে। বর্ষায় সড়কে পানি জমবে না। ফুটপাত হচ্ছে, পায়ে চলার জায়গাও জুটবে।
৬ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির নিরাপত্তারক্ষী আবদুল কাদের বলেন, ‘রিকশা, গাড়ি ও লোকজন চলাচলে একটু অসুবিধা হচ্ছে। তবে কাজ গুছিয়ে ফেললে আর সমস্যা হবে না। দেখছি তো, কাজ দ্রুতই আগাচ্ছে।’
প্রকল্পের পরিকল্পনা থেকে দেখা গেছে, এখন ৩ নম্বর সেক্টরের ২, ৩, ৯, ১০ ও ১৩ নম্বর সড়কে সংস্কারকাজ হচ্ছে। এ ছাড়া রবীন্দ্র সরণি ও জসীমউদ্দীন সড়কের মধ্যে একটি সংযোগ সড়কও নির্মাণ করা হচ্ছে। ৪ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর সড়ক ও শাহজালাল অ্যাভিনিউয়ে সংস্কার চলছে। ৫ নম্বর সেক্টরের ২, ৩, ৪, ৯ /এ, ৯ /বি ও ৯ /সি সড়কের বিভিন্ন অংশে সংস্কার হচ্ছে। ৬ নম্বর সেক্টরের ঈশা খাঁ অ্যাভিনিউ ও ৬ নম্বর সড়কেও পুনর্নির্মাণ চলছে। ৭ নম্বর সেক্টরের ১, ৫, ২৭ ও ৩৫ নম্বর সড়কে শুরু হচ্ছে সংস্কার। ৯ নম্বর সেক্টরের ৯ ও ১০ নম্বর সড়কেও দুই অংশে পুনর্গঠন হচ্ছে। এ ছাড়া ১০ নম্বর সেক্টরের রানাভোলা সড়কে (অ্যাভিনিউ) চলছে সড়ক সংস্কার ও ড্রেনলাইনে পাইপ সংযোগের কাজ।
যৌথ অংশীদারত্বে এ প্রকল্পের কাজ পেয়েছে এনটিআর নেওয়াজ ট্রেডার্স। কাজের সময়সীমা সম্পর্কে জানতে চাইলে দায়িত্বরত ঠিকাদার মামুনুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘কাজ শেষ করতে ডিএনসিসি চার মাস সময় দিয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সব ধরনের সংস্কার সম্পন্ন করার লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি।’