উন্নয়নে সফল এক দেশ

টিম ইভান্স
টিম ইভান্স

গত এক দশকে বাংলাদেশ জোরদার ও স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে এবং দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে এনেছে। মানব উন্নয়নেও অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। সেই সঙ্গে চমকপ্রদভাবে বেড়েছে শিক্ষা, বিশুদ্ধ পানি ও মৌলিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ। স্বাস্থ্যসেবায় ও এ ক্ষেত্রে সমতা প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য রকম উন্নতি হয়েছে। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্য জাতিসংঘের প্রশংসা কুড়িয়েছে। এ সাফল্য দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর তুলনায় চোখে পড়ার মতো।
তবু পুষ্টিহীনতা কাটানোর ক্ষেত্রে পিছিয়ে
এতগুলো অর্জন এবং প্রায় স্বনির্ভরতা সত্ত্বেও প্রধান খাদ্যশস্য উৎপাদনের দিক থেকে বাংলাদেশ এখনো বিশ্বের সবচেয়ে অপুষ্টির শিকার দেশগুলোর অন্যতম। দীর্ঘস্থায়ী পুষ্টিহীনতার একটি সূচক হলো শিশুদের বৃদ্ধি ব্যাহত (বয়সের তুলনায় খর্বাকৃতি) হওয়ার হার। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নতির গতি খুব ধীর। ২০০৪ সালে বয়সের তুলনায় খর্বাকৃতি শিশুর হার ছিল ৫১ শতাংশ, ২০০৭ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৪৩ শতাংশে। ২০১১ সালে ওই হার নেমে আসে ৪১ শতাংশে (বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ ২০১১)।

বাংলাদেশে শিশুদের বয়সের তুলনায় কম ওজনের ক্ষেত্রে একই ধরনের প্রবণতা লক্ষ করা যায়। এর মাত্রা এখনো অগ্রহণযোগ্য রকম বেশি। তা কমার গতিও ধীর। ২০০৪ সালে বয়সের তুলনায় কম ওজনের শিশুর হার ছিল ৪৩ শতাংশ, ২০০৭ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৪১ শতাংশে। ২০১১ সালে হয় ৩৬ শতাংশ। শিশুদের বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া এবং কম ওজনের হার হ্রাসের গতি এত ধীর যে তা এমডিজি-১-এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে।

এর পাশাপাশি আরেক ধরনের ‘পুষ্টিহীনতা’ দ্রুত বাড়ছে। সাম্প্রতিক জাতীয় পুষ্টিবিষয়ক সমীক্ষাগুলোতে কম ওজন ও অতি ওজনের নারীর হার সমান দেখা যাচ্ছে।

এই স্ববিরোধী পরিস্থিতির কারণ কী?

এ রকম সার্বিক অনুকূল অগ্রগতির মধ্যেও পুষ্টিহীনতা কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি এত ধীর কেন? বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ ২০১১-তে এ বিষয়ে একটি চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে (যে বিষয়ে অন্যত্রও নিশ্চিত হওয়া গেছে)। তা হলো, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সার্বিক সূচক এবং পারিবারিক সম্পদ বৃদ্ধির বিষয়টি যতটা মনে করা হয়, পুষ্টি পরিস্থিতির সঙ্গে ততটা জোরালোভাবে সম্পৃক্ত নয়। দেখা গেছে, দেশের সবচেয়ে সম্পদশালী পরিবারগুলোরও পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের প্রতি চারজনের একজন (২৬ শতাংশ) বয়সের তুলনায় খর্বাকৃতির। তার মানে, পুষ্টিহীনতা শুধু দরিদ্র পরিবারগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। আবার খাদ্যনিরাপত্তা ও পুষ্টি পর্যবেক্ষণ কর্মসূচির (এফএসএনএসপি) উপাত্ত এটা নিশ্চিত করেছে যে দরিদ্র পরিবারগুলোর শিশুদের মধ্যেও স্থূূলতা ও অতিপুষ্টির প্রবণতা ক্রমবর্ধমান। পুষ্টিহীনতার এই দ্বিবিধ বোঝা ইতিমধ্যে জানা সূচকগুলোকেই প্রতিফলিত করে, যার মধ্যে রয়েছে মায়ের শিক্ষার স্তর, স্বাস্থ্যবিধি, স্বাস্থ্যকর পয়োনিষ্কাশন-ব্যবস্থা, উঠতি বয়সের শিশুদের খাওয়ানোর চর্চা, লৈঙ্গিক বৈষম্য ইত্যাদি। পাশাপাশি রয়েছে উঠতি বাজারের দেশগুলোর বিভিন্ন সমস্যা, যেমন অদক্ষ বাজার, বিধিনিষেধমূলক বাণিজ্যনীতি, খাদ্যমূল্য বৃদ্ধি ও খাদ্যসূচিতে পরিবর্তন।

ভালো পুষ্টি একটি উপযুক্ত বিনিয়োগ

বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদেরা উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে ভালো বিনিয়োগের ব্যাপারে অনুসন্ধান করেছেন। তাঁদের প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণ ‘দ্য কোপেনহেগেন কনসেনসাস (২০০৮, ২০১২)’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা গেছে, পুষ্টির ক্ষেত্রে বিনিয়োগ, বিশেষ করে বিদ্যালয়-পূর্ব বয়সী শিশুদের পুষ্টির জন্য বিনিয়োগ হলো তালিকায় বিশ্বের এক নম্বর উন্নয়ন-সংক্রান্ত বিনিয়োগ। পর্যাপ্ত পুষ্টিসম্পন্ন এবং স্বাস্থ্যবান কর্মী বাহিনী সফল সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত। আর এ রকম একটি কর্মী বাহিনী ধরে রাখতেও প্রয়োজন পুষ্টিসম্পন্ন ও স্বাস্থ্যবান শিশু। এটা এখন সুপ্রতিষ্ঠিত সত্য যে গর্ভধারণ থেকে ২৪ মাস বয়স পর্যন্ত সময়ের মধ্যে পুষ্টিহীনতা হলে শিশুর স্বাস্থ্য, বৃদ্ধি ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা আর পূরণ করা যায় না। এর পরিণতিতে শিশুর রোগাক্রান্ত হওয়া ও মৃত্যুর হার বেড়ে যায়। বুদ্ধিমত্তা (আইকিউ) ও বিদ্যালয়ে লেখাপড়ায় সাফল্য কম হয়। এ ধরনের শিশুর প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় উৎপাদনশীলতাও কম হয়। সে কারণে উপার্জন হয় কম। অনেক নামকরা অর্থনীতিবিদ এ ব্যাপারে একমত যে, পুষ্টির ক্ষেত্রে বিনিয়োগ (বিশেষ করে, শিশুর জীবনের প্রথম এক হাজার দিনে) একটি দেশের জিডিপি ২ থেকে ৩ শতাংশ বাড়াতে পারে। এই যুক্তি আরও শক্তিশালী হয়, যখন এ কথা উপলব্ধি করা হয় যে, জীবন শুরুর প্রথম এক হাজার দিনের মধ্যে পুষ্টিহীনতা রোধের জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলো অতিপুষ্টি রোধের শর্তের ঠিক অনুরূপ। যে ধরনের উদ্যোগ স্থূলতা এবং এর অনুষঙ্গ হিসেবে অকালে ডায়াবেটিসের মতো রোগ ডেকে আনা ঠেকাতে পারে, তা এসব পদক্ষেপের পক্ষে অর্থনৈতিক যুক্তিকেই শক্তিশালী করে।

শিশুদের খাবারের পুষ্টি নিশ্চিত করতে হবে। ছবি: সৈকত ভদ্র
শিশুদের খাবারের পুষ্টি নিশ্চিত করতে হবে। ছবি: সৈকত ভদ্র

পুষ্টির বিষয়টি এগিয়ে নেওয়া একটি
বহু খাত-সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়া
অপুষ্টি একটি জটিল, বহু খাত-সংশ্লিষ্ট ইস্যু। এর পেছনে রয়েছে অনেক সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক নির্ধারক। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে এ রকম উল্লেখযোগ্য তথ্য-প্রমাণ রয়েছে যে কম পুষ্টির উপস্থিত নির্ধারকগুলোর (যেমন শিশুর খাদ্যতালিকা ও স্বাস্থ্যের অবস্থা) ব্যাপারে সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি কিছু মূলগত নির্ধারকের ব্যাপারে উদ্যোগ নিলে তা অনেক বেশি কার্যকর হয়। এ মূলগত নির্ধারকগুলোর মধ্যে রয়েছে খাদ্যনিরাপত্তা, স্কুলে দেওয়া খাবার, নিরাপদ পানি, ভালো পয়ঃসুবিধা, নারীর শিক্ষা ও ক্ষমতায়ন এবং কার্যকর বাজারব্যবস্থা। এসব বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণ স্বাস্থ্য খাতের বাইরের বিষয়। এগুলো করা হলে তা অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি সরকারের বাইরেরও বহু খাত-সংশ্লিষ্ট ও বহুপক্ষীয় কার্যক্রমে বিশেষ সহায়ক ভূমিকা রাখে।
উচ্চমানের, বিস্তৃত পরিসরের ও
প্রজ্ঞাবান নেতৃত্ব গড়ে তোলা

গত তিন বছরে বাংলাদেশ সরকার স্বাস্থ্য, খাদ্য, কৃষি ও শিক্ষা খাতের মাধ্যমে অপুষ্টির সমস্যা সমাধানে লক্ষণীয় রকম নীতিগত গুরুত্ব ও সম্পদ বরাদ্দ করেছে। কান্ট্রি ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান (২০১২-২০১৬) এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এইচএনপিএসডিপি খাত উন্নয়ন কর্মসূচিতে পুষ্টির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কান্ট্রি ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানের আওতায় টেকসই খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ৭৮০ কোটি ডলার আন্তখাত বিনিয়োগের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অন্যদিকে ২০১১ সালে চূড়ান্ত হওয়া স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এইচএনপিএসডিপি খাত উন্নয়ন কর্মসূচিটি জাতীয় পুষ্টি সার্ভিস (এনএনএস) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কার্যকর করা হয়েছে। এনএনএসের আওতায় দেশব্যাপী কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে পুষ্টিসংক্রান্ত সেবা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এটি অন্যান্য খাতের সঙ্গে সমন্বয় ও পরামর্শদানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। জাতিসংঘের স্কেলিং আপ নিউট্রিশন (এসইউএন) কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশে ন্যাশনাল চ্যাপ্টারগুলো একটি অভিন্ন পুষ্টি-কাঠামোর ভিত্তিতে সরকারের উচ্চপদস্থ নেতৃত্ব ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের ঐক্যবদ্ধ করছে, যারা কিনা একটি পুষ্টিমুখী প্রশাসন, অর্থায়ন ও রাজনৈতিক উদ্যোগের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ।

পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সক্ষমতার

সীমাবদ্ধতা মোকাবিলা করা

পুষ্টির বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া ও বিভিন্ন খাতের মাধ্যমে কার্যক্রম জোরদার করার অঙ্গীকার থাকলেও এর বাস্তবায়ন সহজ নয়। শিশুর বৃদ্ধির ওপর নজর রাখা ও তা এগিয়ে নেওয়া, সচেতনতা বাড়ানো, গর্ভবতী নারীদের আয়রন/ ফোলেট, দুগ্ধপোষ্য ও শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ এবং ডায়রিয়ার চিকিৎসায় জিঙ্ক দেওয়া ইত্যাদির মতো স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক পুষ্টিসেবা অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি কাগজ-কলমে ঠিকই আছে। তবে জেলা পর্যায়ে এটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সামর্থ্যের অভাব আছে। তা ছাড়া বাংলাদেশের পুষ্টি, জনস্বাস্থ্য ও প্রশাসনবিষয়ক স্নাতকোত্তর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পাঠ্যক্রমে কর্মসূচি বাস্তবায়নের খুঁটিনাটি বিষয় বা আন্তখাত সমন্বয়ের বিষয়ে কোনো অগ্রাধিকার দেওয়া হয় না। এই সীমাবদ্ধতাটি চিহ্নিত করে ইউনিসেফ জেলা পুষ্টি কর্মকর্তার পদ সৃষ্টি করেছে। তার কাজ হবে স্বাস্থ্য ও অন্যান্য খাতে পুষ্টির বিষয়টিকে এগিয়ে নিতে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করা। এ কর্মকর্তারা স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কর্মপ্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়ে সহায়তা ও ফলোআপ করার মাধ্যমে সব ক্ষেত্র ও পর্যায়ে পুষ্টির বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। এর মধ্যে থাকবে পরিকল্পনা, সরবরাহব্যবস্থার বাজেট তৈরি, প্রশিক্ষণ, বাস্তবায়ন, সমন্বয় এবং দৈনন্দিন ভিত্তিতে নজরদারি। জেলা পুষ্টি কর্মকর্তাদের এ দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত করে তুলতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ একটি উদ্ভাবনী ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি তৈরি করছে। এতে যেসব বিষয়ের ওপর মনোযোগ দেওয়া হবে, তার মধ্যে রয়েছে সমস্যা সমাধান, নজরদারি ও মূল্যায়ন এবং যোগাযোগ, সমন্বয় ও পৃষ্ঠপোষকতার ওপর দক্ষতা গড়ে তোলা। নতুন এই বিকাশমান প্রচেষ্টাগুলোর জন্য বাড়তি সহযোগিতা প্রয়োজন। পুষ্টি কর্মসূচিকে জোরদার করতে এর পাশাপাশি অবশ্যই বৃহত্তর কর্মী বাহিনীর প্রতি মনোযোগ আরও বাড়াতে হবে।

দক্ষতা বাড়ানোর জন্য চাই প্রমাণ

পুষ্টি সহজলভ্য করার প্রচেষ্টায় কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা এবং বিদ্যমান সম্পদের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সুফল পাওয়া নিশ্চিত করতে তথ্য-প্রমাণের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে ইউরোপীয় কমিউনিটি ও এইচএনপিএসডিপি এসডব্লিউএপির সমর্থনপুষ্ট জাতীয় ‘ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন সার্ভেইল্যান্স প্রোগ্রাম (এফএসএনএসপি) একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ কর্মসূচিগুলো পরিকল্পনা প্রণয়নকারী ও নীতিনির্ধারকদের সবচেয়ে বেশি সাহায্য প্রয়োজন এ রকম এলাকা ও জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী সম্পদ বরাদ্দ দিতে সহায়তা করে। প্রচলিত অপুষ্টির সমস্যা ও নতুন অতিপুষ্টির সমস্যা চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে এই যে সক্ষমতা, তা পুষ্টি পরিস্থিতি উন্নয়নের প্রচেষ্টাকে মূল্যায়ন করার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি। বিভিন্ন কর্মসূচির কার্যকারিতার তারতম্য থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মসূচির দক্ষতার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা মেলে। এ ধারণাকে পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগানো গেলে সরবরাহ-প্রক্রিয়ার উন্নয়ন করা সম্ভব। এ ছাড়া বৃহত্তর দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষাপটে (যেখানে অভিন্ন ধাঁধা বিদ্যমান) যৌথ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগগুলো কাজে লাগানো উচিত। উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায়, বিশ্বব্যাংকের নেতৃত্বাধীন সাউথ এশিয়া ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ (এসএএফএএনএসআই) কর্মসূচির কথা।

ইংরেজি থেকে অনূদিত

টিম ইভান্স: পরিচালক, স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা, বিশ্বব্যাংক গ্রুপ, ওয়াশিংটন ডিসি