উপজেলা আ.লীগ সভাপতির স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা

আবদুল মজিদ
আবদুল মজিদ

কুমিল্লা-২ (হোমনা ও তিতাস) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত হওয়ার পর স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও শিক্ষাবিদ মো. আবদুল মজিদ। গতকাল মঙ্গলবার হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এই ঘোষণা দেন।
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি সেলিমা আহমাদ মেরী। তিনি নিটল নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান মাতলুব আহমাদের সহধর্মিণী। ২০০৮ সালের নির্বাচনে কুমিল্লা–২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন আবদুল মজিদ। তখন তিনি বিএনপির প্রার্থী এম কে আনোয়ারের কাছে ১৭ হাজার ৪৩৯ ভোটে পরাজিত হন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির বিএনপিবিহীন নির্বাচনে তিনি প্রথমে দলীয় মনোনয়ন পেলেও পরে দলের নির্দেশে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। আসনটি ছেড়ে দেওয়া হয় জাতীয় পার্টিকে। এবারের নির্বাচনে তিনি আবারও মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল থেকেই রাজধানীর দিলকুশা এলাকায় নিজ পুস্তক প্রকাশনী পপি গাইড মিলনায়তনে হোমনা ও তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন আবদুল মজিদ। ওই সভায় দলের নেতা–কর্মীরা আবদুল মজিদকে নির্বাচন করার কথা বলেন। সভায় অন্তত ১০ জন নেতা বলেন, জীবনের শেষ প্রান্তে এসে মজিদের মনোনয়ন না পাওয়া দুঃখজনক। ২০ বছর ধরে তিনি দলকে আগলে আছেন। কিন্তু এক বছর মাঠে এসে আরেকজন দলীয় মনোনয়ন পাবেন, এটা মেনে নেওয়া যায় না। বিএনপির খন্দকার মোশাররফকে ঠেকাতে হলে এই আসনে মজিদকেই দরকার।
আবদুল মজিদ বলেন, ‘দলীয় মনোনয়ন না পেলেও আমি নির্বাচন করব। কাল (বুধবার) সকাল ১০টায় হোমনা উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেব। দলের নেতা-কর্মীদের চাপে আমাকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হচ্ছে।’
আবদুল মজিদ আরও বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে এম কে আনোয়ারের মতো প্রার্থীর সঙ্গে মাত্র ১৭ হাজার ৪৩৯ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হই। অতীতে এই আসনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির ভোটের ব্যবধান বেশি ছিল। আমার নির্বাচনে সেটা অনেকটা কমে এসেছে। এ ছাড়া নেত্রীর নির্দেশে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিই। এবার দল আমাকে সংগঠনকে শক্তিশালী ও নির্বাচনের জন্য কাজ করতে বলেছেন। দলের নেতা–কর্মীরা এককাট্টা হয়ে কাজ করেছেন। তবুও মনোনয়ন না পাওয়া দুঃখজনক। তাই আমি নির্বাচন করব।’