
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য একাই ২১টি পদের দায়িত্ব নিয়েছেন৷ আবার ১২টি প্রশাসনিক ও শাখাপ্রধানের পদে ভারপ্রাপ্ত বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে কার্যত সেই পদগুলোও নিজের কবজায় রেখেছেন তিনি৷
প্রায় ২৩ হাজার শিক্ষার্থী, সাড়ে আট শ শিক্ষক এবং প্রায় সাড়ে চার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গোটা প্রশাসন নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়েও সন্তুষ্ট নন উপাচার্য মো. আনোয়ারুল আজিম আরিফ৷ সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে তিনিই এখন সবচেয়ে ক্ষমতাধর উপাচার্য।
প্রথম আলোর অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গত তিন বছরে প্রায় আড়াই শ শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন তিনি৷ প্রায় সব নিয়োগ নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে৷ তুলনামূলক কম যোগ্যদের নেওয়া, নিয়োগ-যোগ্যতা শিথিল করা, বিজ্ঞাপিত পদের বাইরে নিয়োগ দেওয়াসহ শিক্ষক নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের মতো স্পর্শকাতর অভিযোগ রয়েছে৷
শত শত আবেদন পড়বে এবং সরকারের বিভিন্ন জায়গা থেকে চাপ আসবে—এমন অজুহাতে উপাচার্য কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের বিজ্ঞাপন না দিয়ে একক ক্ষমতায় অস্থায়ী নিয়োগ দেন৷ এভাবে নিজের দুই শ্যালিকা ও পুত্রবধূকেও তিনি বিজ্ঞাপন ছাড়া কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দিয়ে সমালোচিত হন৷ কৌশলে ছেলেকেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক করেছেন৷
এই উপাচার্যের বিরুদ্ধে তিনটি আবাসিক সুবিধা নেওয়া, তিনটি গাড়ি ব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগ আছে৷ তাঁর বিরুদ্ধে কেউ কোনো প্রতিবাদ করলে চাকরি হারাতে হয় বা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে যেতে হয়৷
সম্প্রতি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়মনীতি, প্রথা বা নৈতিকতা—কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছেন না উপাচার্য। মূলত তাঁর কর্মকাণ্ডে অসন্তুষ্ট হওয়ার জের ধরেই সরকার-সমর্থক শিক্ষকদের ফোরামও বিভক্ত হয়ে গেছে। বিভিন্ন সুবিধা দিয়ে উপাচার্য শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মধ্যে একটি নিজস্ব বলয় তৈরি করেছেন৷
জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের কয়েকজন জানান, উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেটের সভাপতি। এ ছাড়া একাডেমিক কাউন্সিল, ফাইন্যান্স কমিটি, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটিরও সভাপতি। নীতিনির্ধারণী এই পাঁচটি দায়িত্ব ছাড়াও তিনি কমপক্ষে আরও ১৬টি দায়িত্ব নিয়েছেন। নিজে এত ক্ষমতার মালিক হওয়া, সিনেট ও সিন্ডিকেটকে কবজায় রাখা এবং দুর্বলের হাতে কিছু ক্ষমতা দিয়ে তা কার্যত নিজের হাতে রাখার নজির অন্য কোনো স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই।
এত পদে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে উপাচার্য সম্মানী হিসেবে কী পরিমাণ টাকা পান, সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে হিসাব শাখা সূত্রে ধারণা পাওয়া গেছে, মাসে এই সম্মানীর অঙ্ক তাঁর বেতন-ভাতার কয়েক গুণ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ ও পদোন্নতির সাতটি কমিটির সভা প্রায় প্রতিদিনই থাকে। একেকটি সভার সম্মানী হাজার টাকার কাছাকাছি।
উপাচার্য হয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত চট্টগ্রামের চারটি হাসপাতাল বা কলেজের পরিচালনা কমিটির প্রধান তিনি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজ, চান্দগাঁওয়ে ইন্টারন্যাশনাল ডেন্টাল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের ইনস্টিটিউট অব কমিউনিটি অপথালমোলজি এবং নিউক্যাসেল ইউনিভার্সিটি কলেজ। এর আগে সাধারণত জ্যেষ্ঠ শিক্ষক, সহ-উপাচার্য বা অন্য কেউ অধিভুক্ত কলেজ পরিচালনার দায়িত্ব পেতেন।
এখানেই শেষ নয়, উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের (আইইআরটি) চেয়ারম্যান, বিদেশি অনুদান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থে পরিচালিত ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি।
বিভাগের চেয়ারম্যান ও অনুষদের ডিন: নতুন প্রতিষ্ঠিত মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান হয়েছেন উপাচার্য। এই বিভাগে শিক্ষকসহ জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে তিনিই হবেন নিয়োগ কমিটির প্রধান। অবশ্য উপাচার্য বলেছেন, নতুন বিভাগ হলে উপাচার্য তাঁর দায়িত্বে থাকেন। কিন্তু নতুন খোলা ব্যাংকিং বিভাগের দায়িত্ব একজন অধ্যাপককে দেওয়ার বিষয়টি মনে করিয়ে দিলে তিনি বলেন, যোগ্য শিক্ষক পেলে দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন।
চট্টগ্রাম শহরে অবস্থিত সেন্টার ফর বিজনেস স্টাডিজেরও প্রধান তিনি। এর পরিচালকের দুর্নীতি প্রসঙ্গে ডিন আবু তাহেরের সঙ্গে উপাচার্যের বিরোধ চলছিল। বিরোধ চলা অবস্থায় আবু তাহের উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যান। উপাচার্য ডিনের দায়িত্ব নেন।
এ প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, তাঁর আগে রফিকুল ইসলাম চৌধুরী ও মোহাম্মদ ফজলী হোসেন উপাচার্য থেকেও ডিনের দায়িত্বে ছিলেন। তাই তিনি অন্যায় করেননি। সম্প্রতি উপাচার্যের মুরদাপুরে অবস্থিত বাসভবনে গিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য নেওয়া হয়।
অকার্যকর সিনেট, উপাচার্যকে প্রশ্ন করার কেউ নেই: সিনেটে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন দিচ্ছেন না উপাচার্য। গণতান্ত্রিক কাঠামোর ১০১ সদস্যের সিনেট চলছে মনোনীত ব্যক্তিদের দিয়ে। সিনেটে বড় দাগে নির্বাচিত প্রতিনিধি ৬৩ জন। এঁদের মধ্যে রেজিস্ট্রার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধির ২৫টি পদ নামকাওয়াস্তে থাকলেও ১৯৮৬ সালের পর থেকে নির্বাচন হয় না। ৩৩ জন শিক্ষক প্রতিনিধির মধ্যে ২০টি পদ দুই বছর ধরে শূন্য থাকলেও নির্বাচনেরও উদ্যোগ নেই। এ বিষয়ে উপাচার্য বলেন, আগামী ঈদের পর তিনি শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের উদ্যোগ নেবেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনেরও উদ্যোগ নেই। এ কারণে চাকসু প্রতিনিধিও নেই সিনেটে। অনির্বাচিত ব্যক্তিদের নিয়ে অনেকটাই অকার্যকর এই সিনেট প্রতিবছর শুধু বাজেট পাস করে।
এ প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, অধ্যাদেশের চেতনা ছিল শিক্ষকদের মধ্যে বিবেকবোধ সৃষ্টি করা। বিভিন্ন কারণে সেই চেতনা বিলুপ্ত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, রেজিস্ট্রার্ড গ্র্যাজুয়েট নির্বাচন করতে গেলে মামলার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া গ্র্যাজুয়েটদের সদস্য হওয়ার প্রক্রিয়া হয়রানিমূলক, যা সংশোধন করতে চান তিনি।
পছন্দের সিন্ডিকেট: সিন্ডিকেটে সদস্যসংখ্যা ১৭, ছয়টি পদ খালি। বাকি ১১ জনের প্রায় সবাই উপাচার্যের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। সিন্ডিকেটে নির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধির ছয়টি পদের চারটিই শূন্য, দুটি পদের মধ্যে একজন করে প্রভোস্ট ও ডিন থাকলেও তাঁরা উপাচার্যের আশীর্বাদপুষ্ট। শিক্ষকদের যে চারটি পদে নির্বাচন হওয়ার কথা, সেগুলো বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া সিনেট ও একাডেমিক কাউন্সিল মনোনীত সিন্ডিকেটের দুটি পদ খালি। বাকি নয়টি পদের মধ্যে উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য রয়েছেন। আরও আছেন সরকারের একজন সচিব। আরেক সদস্য এস এম ফজলুল হক সাবেক চাকসু ভিপি, দুই দশক আগে নিযুক্ত। আচার্য-মনোনীত তিনজনের একজন সাবেক উপাচার্য আবদুল মান্নান, অপর দুই অধ্যাপকের একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের, অপরজন বাইরের।
১৯৯২ সালে নিয়োগ পাওয়া বিএনপি সরকারের সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী এল কে সিদ্দিকী সভায় যান না। জানতে চাইলে এল কে সিদ্দিকী বলেন, তাঁকে হয়তো বাদ দিতে পারছে না।
উপাচার্যবিরোধী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ফোরাম বঙ্গবন্ধু আদর্শ বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক গাজী সালেহ উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ এভাবে আর কখনোই লঙ্ঘিত হয়নি। মনোনীত ব্যক্তিদের নিয়ে পরিচালিত সিন্ডিকেট ও সিনেটে যেসব সিদ্ধান্ত হচ্ছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে কেউ আইনের আশ্রয় নিলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের জটিলতা হতে পারে।
ভারপ্রাপ্তে ভরপুর: প্রশাসনিক শীর্ষ ১৩টি পদের প্রায় সব কটিতেই আছেন ভারপ্রাপ্ত বা চুক্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা। এর বাইরেও ছোটখাটো বা মধ্যম আরও ১০-১২টি পদে চুক্তিতে নিয়োগ দিয়েছেন উপাচার্য।
গুরুত্বপূর্ণ পদে ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, কলেজ পরিদর্শক জীবন চন্দ্র পাল ও হিসাব নিয়ামক মো. ফরিদুল আলম চৌধুরী। আরও আছেন গ্রন্থাগারিক, পরিকল্পনা ও উন্নয়নের পরিচালক, প্রধান চিকিৎসক, শারীরিক শিক্ষার পরিচালক, পরিবহন দপ্তরের প্রধান, নিরাপত্তাপ্রধান এবং বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ।
প্রশাসনের জন্য রেজিস্ট্রার এবং উন্নয়ন-সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডের জন্য প্রধান প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদ। এসব পদের দায়িত্বে থাকা আলমগীর চৌধুরী সব সুবিধা নিয়ে প্রধান প্রকৌশলী পদ থেকে অবসরে যান। উপাচার্য ওই কর্মকর্তাকে এনে প্রধান প্রকৌশলী ছাড়াও রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দেন। অধ্যাদেশ অনুযায়ী রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সব চুক্তিতে সই করেন। তিনি সিনেট, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সচিব।
একমাত্র প্রক্টর সিরাজ উদ দৌল্লাহ নিয়মিত পদে আছেন, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নেওয়ায় বছরের প্রায় অর্ধেক সময় তাঁকে বিদেশে অবস্থান করতে হয়। উচ্চমান সহকারী আমিনুর রহমান খান বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় বাসগুলো দেখভাল করেন। তাঁকে তৃতীয় দফা নিয়োগ দেওয়ার আয়োজন চলছে।
একজন কর্মচারী নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার নজির নেই। উপাচার্য সেই কাজটিও করেছেন।
এ বিষয়ে উপাচার্য আনোয়ারুল আজিম প্রথম আলোকে বলেন, ভারপ্রাপ্ত ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যোগ্য কর্মকর্তার অভাবে। তা ছাড়া কিছু পদে বিশ্বস্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন।
সহ-উপাচার্য ‘পুতুল’: উপাচার্য নিজে সব ক্ষমতা আঁকড়ে ধরায় ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী কার্যত ‘পুতুল’ হয়ে আছেন। তাঁকে চিকিৎসা, গ্রন্থাগার ও শারীরিক শিক্ষা বিভাগের উপদেষ্টা কমিটিতে রাখা হয়েছে এবং এসব বিষয়ে তিনি শুধুই সুপারিশ করতে পারেন।
অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেট ও সিন্ডেকেটে নেতৃত্ব দেওয়া ছাড়া অন্য সব দায়িত্বই উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ছেড়ে দিয়েছেন দুই সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের কাছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সহ-উপাচার্য ইফতেখার উদ্দিন কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
নিজের নিয়োগও প্রশ্নবিদ্ধ: গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত হওয়ার কথা থাকলেও সেই উদ্যোগ আনোয়ারুল আজিম নেননি। অধ্যাদেশ অনুযায়ী সিনেট কর্তৃক নির্বাচিত তিনজনের প্যানেল থেকে আচার্য উপাচার্য নিয়োগ করবেন। তবে ছুটি, অসুস্থতা, পদত্যাগ বা অন্য কারণে দায়িত্ব চালিয়ে নিতে আচার্য কাউকে দায়িত্ব দিতে পারেন। উপাচার্য তিন বছর ধরেই চালিয়ে নিচ্ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ নির্বাচিত উপাচার্য ছিলেন আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজউদ্দীন। কয়েক মাস মেয়াদ থাকতেই ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার ওই উপাচার্যকে অপসারণ করে। এই দৃষ্টান্ত তুলে ধরে আনোয়ারুল আজিম বলেন, নির্বাচিত হলেও সরকার চাইলে যে কাউকে অপসারণ করতে পারে। তাই নির্বাচনের গুরুত্ব তেমন নেই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন দেওয়ার বিষয়টি তাঁর ভাবনায় থাকলেও নানা জটিলতা তৈরি হয়ে আছে।
একটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ থাকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, ‘একজন উপাচার্যের ক্ষমতা অপব্যবহারের এমন নজির খুব একটা আছে বলে শুনিনি। সাংঘাতিক এসব অনিয়ম ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’