একটি সেতুর অভাবে দুই ইউনিয়নের মানুষ দুর্ভোগে

এভাবেই চলাচল করতে হয় রায়গঞ্জের ১৫ গ্রামের মানুষকে। ছবিটি গতকাল ফরিদপুর খেয়াঘাট থেকে তোলা l প্রথম আলো
এভাবেই চলাচল করতে হয় রায়গঞ্জের ১৫ গ্রামের মানুষকে। ছবিটি গতকাল ফরিদপুর খেয়াঘাট থেকে তোলা l প্রথম আলো

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ফুলজোড় নদীর ওপর একটি সেতুর অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে দুই ইউনিয়নের ১৫ গ্রামের মানুষ। উপজেলার নলকা ইউনিয়নের ফুলজোড় নদীর ফরিদপুর খেয়াঘাটে একটি সেতুর দাবি এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের। দাবি পূরণ না হওয়ায় সবচেয়ে বেশি ভুগছে ওই এলাকার শিক্ষার্থীরা। নদীটির দুই পারেই রয়েছে বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
এ ঘাট ব্যবহার করে প্রতিদিন নদী পার হয় উপজেলার নলকা ও ঘুড়কা ইউনিয়নের ১৫ গ্রামের মানুষ। এলাকার অন্তত ১০ জন বাসিন্দা বলেন, নদীর পূর্ব পারে রয়েছে কেসি ফরিদপুর উচ্চবিদ্যালয়, কেসি ফরিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আঙ্গারু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাঁঠালবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিষ্ণুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব ফরিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফরিদপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা। আর পশ্চিম পারে জিআর কলেজ, জিআর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও দাদপুর-সাহেবগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয় অবস্থিত। নৌকায় নদী পার হতে গিয়ে প্রতিদিন নানা দুর্ভোগ পোহাতে হয় এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের। এ রকমই একজন শিক্ষার্থী হাফিজুল ইসলাম। সে বলল, একবার খেয়ানৌকা মিস করলে কমপক্ষে ২০ মিনিট বসে থাকতে হয়। আবার ভরা বর্ষায় পানি দ্বিগুণ হয়ে যায়।
আঙ্গারু গ্রামের কৃষক রজব আলী বলেন, বর্ষার সময় নৌকা বোঝাই করে উৎপাদিত কৃষিপণ্য ঘুড়কাসহ বিভিন্ন হাটে নেওয়া যায়। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে নদী পার হয়ে এ পণ্য নেওয়া কঠিন হয়ে যায়। নদীর ওপরে ব্রিজ হলে কৃষিপণ্যের পরিবহন সমস্যা মিটে যেত। কৃষক ফসলের ন্যায্য দাম পেতেন।
নলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল জাব্বার সরকার বলেন, ‘বিষয়টি উপজেলা পর্যায়ের সভায় একাধিকবার বলেছি।’