‘অবৈধ রায়ের মাধ্যমে সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীকে হত্যা করা হয়েছে’ বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘একদিন না একদিন এই হত্যার বিচার হবেই।’
সাকা চৌধুরীর দাফনের পর গতকাল রোববার বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের রাউজানের গহিরায় নিজ বাসভবনে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন করেন হুম্মাম।
সাকা চৌধুরী প্রাণভিক্ষার আবেদন করেননি দাবি করে হুম্মাম কাদের আবারও বলেন, ‘আমরা যখন শেষ দেখা করতে গেলাম, তখন আমার বাবা বলেছেন, ‘...তোমার বাবা কারও কাছে মাথা নত করতে পারে না।’
হুম্মাম বলেন, ‘দেশে অনেক গুম-খুন হচ্ছে। অনেকে আপনজনের লাশও খুঁজে পাচ্ছে না। সেই দিক থেকে আমরা ভাগ্যবান। আমরা আমাদের বাবাকে সম্মানের সঙ্গে দাফন করতে পেরেছি।’
সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের ‘গুডস হিলে’ আবারও সংবাদ সম্মেলন করে সাকা চৌধুরীর পরিবার। ‘মৃত্যুর আগে সাকা চৌধুরী পরিবারকে কি বলেছেন তা জানাতে’ এ সংবাদ সমম্মেলন করা হয় বলে সাংবাদিকদের জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সাকা চৌধুরীর ভাই গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী বিচারিক প্রক্রিয়া ও আদালতকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দেন। তাঁর দাবি, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ইচ্ছা ছিল দাফন হবে রাঙ্গুনিয়ায়। কিন্তু তাঁদের পরিবারকে রাউজানে দাফন করতে বাধ্য করা হয়েছে।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন সাকা চৌধুরীর ছোট ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী ও স্ত্রী ফরহাত কাদের চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন সাকা চৌধুরীর আরেক ছোট ভাই জামালউদ্দিন কাদের চৌধুরী, বড় ছেলে ফজলুল কাদের চৌধুরী ওরফে ফাইয়াজ, মেয়ে ফারজিন কাদের চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফরহাত কাদের চৌধুরী বলেন, ‘আমরা পুনরায় বিচারের আবেদন করেছিলাম। ক্ষমা না চাওয়ার পরও ক্ষমার কথা বলে সরকার নাটক করছে।’