এক বছর পর দায়িত্ব বুঝে পেলেন হবিগঞ্জের মেয়র

প্রায় এক বছর তিন মাস পর আজ বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদে দায়িত্ব বুঝে পেলেন জি কে গউছ। এর আগে তিনি সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় কারাগারে ছিলেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি মেয়র নির্বাচিত হন। সম্প্রতি তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান।

২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবিগঞ্জ পৌর নির্বাচনে কারাগার থেকে মেয়র নির্বাচিত হন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জি কে গউছ। এর আগে টানা দুবার তিনি মেয়র ছিলেন এ পৌরসভার। জি কে গউছ মেয়র থাকা অবস্থায় সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হন। ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাঁকে কারাগারে প্রেরণ করেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হলে ২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মেয়র পদে শপথ নেন। একই বছরের ২০ মার্চ স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয় এক আদেশে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি উচ্চ আদালত থেকে এ হত্যা মামলায় জামিন লাভ করেন জি কে গউছ। তিনি একই মাসের ২২ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিটপিটিশন দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সাময়িক বরখাস্তের বিষয়ে স্থগিতাদেশ দেন।
উচ্চ আদালতের এ আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় পুনরায় এক চিঠিতে জি কে গউছের মেয়র পদে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। আজ হবিগঞ্জ পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র দিলীপ দাসের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন জি কে গউছ।
গউছের দায়িত্ব গ্রহণের সময় জেলা বিএনপির কয়েক শ নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন পৌর ভবনের সামনে। তাঁরা মেয়রকে স্বাগত জানিয়ে নানা স্লোগান দেন। পাশাপাশি হবিগঞ্জ পৌরসভার সব কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এ দায়িত্ব হস্তান্তর উপলক্ষে পৌরসভা প্রাঙ্গণে এক সংবর্ধনার আয়োজন করেন। এতে শহরের সাংবাদিকসহ নানা পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মেয়র জি কে গউছ বলেন, রাজনৈতিক কারণে দুটি বছর তাঁকে কারাগারে রেখে হয়রানি করা হয়েছে। তিনি জনগণ বা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এমন কোনো অপরাধ করেননি যে কারণে তাঁকে মিথ্যা মামলা দিয়ে এভাবে হয়রানি করতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমি কোনো অপরাধ বা অন্যায় করে থাকলে হবিগঞ্জের মানুষ এভাবে টানা তিনবার বিপুল ভোটে আমাকে মেয়র নির্বাচিত করত না।’