এখন পাঁচ ধরনের কাজ চলছে পদ্মা সেতুতে

পদ্মা সেতু
ফাইল ছবি

২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের লক্ষ্যে এখন সেতুতে মূলত দরকারি পাঁচ ধরনের কাজ চলছে। এগুলো হচ্ছে ১. সেতুতে যানবাহন চলাচলের নির্দেশনা (মার্কিং) ও সংকেত বসানো। ২. খুঁটিতে (ল্যাম্পপোস্ট) বাতি জ্বালানো। ৩. সেতুর পাশে স্টিলের রেলিং বসানো। ৪. টোল প্লাজা প্রস্তুত করা এবং ৫. দুই প্রান্তে ম্যুরাল ও উদ্বোধনী ফলক নির্মাণ।

এ পাঁচ ধরনের কাজের দেখভালের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে জানান, বাতি জ্বালানোর কাজে খুব একটা সমস্যা নেই। গত দুই দিনে ৪২টি খুঁটির বাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সেতু ও এর সংলগ্ন ৪১৫টি খুঁটির বাতি জ্বালানোর পরীক্ষা সম্পন্ন হয়ে যাবে। তখন একসঙ্গে সব বাতি জ্বালানো হবে। যানবাহন চলাচলের পথনির্দেশনা ও সংকেত বসানোর কাজ ৮০ শতাংশ শেষ হয়ে গেছে। এ কাজও এক সপ্তাহের বেশি লাগবে না।

সেতুতে স্টিলের রেলিং বসানোর কাজ আরও দিন দশেক লাগতে পারে। এখন পর্যন্ত সেতুর ৩০ শতাংশ পথে স্টিলের রেলিং লাগানো হয়েছে।

পদ্মা সেতুর দুই পাশেই ৩ ফুটের কাছাকাছি উচ্চতায় কংক্রিটের রেলিং বসানো হয়েছে। এর ওপর ১ ফুটের কিছু বেশি স্টিলের রেলিং বসছে। সব মিলিয়ে পাশের রেলিং ৪ ফুটের কিছু বেশি উচ্চতার। অর্থাৎ সেতুর কিনারায় দাঁড়িয়ে নদী দেখার সময় বুকসমান উচ্চতার রেলিং থাকছে।

পদ্মা সেতুর টোল আদায়ের জন্য দুই পারে টোল প্লাজা নির্মাণ করা হয়ে গেছে ২০১৭ সালেই। এখন টোল আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বসানোর কাজ চলছে। টোল প্লাজাগুলোতে ছয়টি করে টোল আদায়ের বুথ বসানো হয়েছে। এই ছয়টি বুথ দিয়ে দিনে সর্বোচ্চ ৯০ হাজারটি যানবাহন চলতে পারবে বলে এর নকশা প্রণয়নের সময় উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে টোল আদায়ের সময় যানজট হওয়ার সম্ভাবনা কম বলে মনে করছেন সেতু বিভাগের কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন

সরকার ইতিমধ্যে পদ্মা সেতুতে যানবাহনের শ্রেণিভেদে টোল হার প্রকাশ করেছে। টোল আদায়ের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন (কেইসি) এবং চীনের চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিকে (এমবিইসি)। এর মধ্যে এমবিইসি মূল সেতু নির্মাণের ঠিকাদার। আর কেইসি পদ্মা সেতু নির্মাণকাজের তদারকে নিয়োজিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। চুক্তি করার সময় টোল আদায়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা জানিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য দুই পারে দুটি ফলক বসানো এবং ৬০ ফুট উচ্চতার দুটি ম্যুরাল স্থাপনের কাজ চলমান আছে। সেতু বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করে প্রথম আলোকে বলেন, ফলক ও ম্যুরালের কাজ শিগগিরই শেষ হবে।

আরও পড়ুন