এরশাদের আপিলের রায় হয়নি

দুর্নীতির মামলায় তিন বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের করা আপিলের ওপর আজ বৃহস্পতিবার রায় হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। এরশাদের আপিল ছাড়াও এ বিষয়ে সরকারের করা দুটি আপিল বিচারাধীন থাকায় আজ রায় দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আদেশের জন্য তিনটি আপিল আবেদনই প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালত বলেছেন, এ মামলা শুনানি শেষে রায়ের জন্য ছিল। এ পর্যায়ে দেখা যায়, সরকারের আরও দুটি আপিল (৫/১৯৯২ ও ৬/১৯৯২) রয়েছে, যা হাইকোর্টে বিচারাধীন। একসঙ্গে শুনানি হবে, তা-ও বলা আছে। একটি রায় নিয়ে তিনটি আপিল হয়েছে। এসব আপিল একসঙ্গে শুনানি হওয়া উচিত। এ পরিস্থিতিতে তিনটি আপিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হলো। এর আগে ৯ মার্চ শুনানি শেষে হাইকোর্ট আদেশের জন্য আজকের দিন রেখেছিলেন। এ অবস্থায় আদালত আজ এ আদেশ দেন।

আদালতে এরশাদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নজীবুর রহমান।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর এক উপপরিচালক ক্যান্টনমেন্ট থানায় দুর্নীতির মামলাটি করেন। ১৯৮৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এরশাদ রাষ্ট্রপতি থাকাকালে পাওয়া বিভিন্ন উপহার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেওয়ার অভিযোগে মামলাটি করা হয়। মামলায় ১ কোটি ৯০ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৫ টাকার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়।

এ মামলায় ১৯৯২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি এরশাদের তিন বছরের সাজা হয়েছিল। ওই বছরই তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন। হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে নিম্ন আদালতের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেন। ২০১২ সালে দুদক এতে পক্ষভুক্ত হয়। পরে শুনানির দিন ধার্যের জন্য আবেদন করে দুদক। এর ধারাবাহিকতায় গত ৩০ নভেম্বর আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়।