কচুয়ায় সাচার বাজার এলাকায় সেতু নেই

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার সাচার বাজার এলাকার সাচার-ইলিয়টগঞ্জ খালের ওপর সেতু না থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন কয়েক হাজার লোক। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীসহ এলাকার লোকজন একটি জরাজীর্ণ সাঁকোর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কচুয়া উপজেলার সাচার ইউনিয়নের ছয়টি গ্রামের লোকজন সাচার বাজার ও কচুয়া-গৌরীপুর সড়কে আসার জন্য এই সাঁকোটি ব্যবহার করেন। গ্রামগুলো হলো সাচার, রাজারামপুর, নয়াকান্দি, শুয়ারোল, মঙ্গলমুড়া ও রাগদৈল। এসব গ্রামের লোকজন এই স্থানে একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

রাজারামপুর গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমান, সফিকুল ইসলাম ও জাকির হোসেন বলেন, ‘সাঁকোটি আমাদের বাড়ির সামনে অবস্থিত। প্রতিদিন সাচার বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় ও সাচার ডিগ্রি কলেজের কয়েক শ শিক্ষার্থী এই পথে যাতায়াত করে। সাঁকোটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় অনেক সময় ছাত্রছাত্রী ও পথচারীরা দুর্ঘটনার শিকার হন।’

সরেজমিনে দেখা যায়, সাঁকোটির দৈর্ঘ্য ৫০-৬০ ফুট হবে। ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে গ্রামের লোকজন পারাপার হচ্ছেন। পারাপার হওয়ার সময় এটি দুলতে থাকে। স্থানীয় আবদুল খালেক নামের এক ব্যক্তি জানান, সাঁকোটির এক পাশে কচুয়া-গৌরীপুর সড়ক; অপর পাশে রাজারামপুর গ্রাম।

সাচার বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সেলিম কবির বলেন, সাচার বাজারটি চাঁদপুর জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার। সাচার-ইলিয়টগঞ্জ খালের ওপর সেতু নির্মিত হলে বাজারটি আরও জমজমাট হবে। তিনি আরও জানান, সেতু হলে রাস্তাটিও পাকা হবে।

 সাচার বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পলাশ ও নাঈম হোসেন জানায়, পার হওয়ার সময় সাঁকোটি দুলতে থাকে। ছোট ছেলেমেয়েরা একা সাঁকো পার হতে পারে না। মা-বাবা তাদের পার করে দেন।

সাচার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওসমান গণি মোল্লা বলেন, এখানে একটি সেতু নির্মাণ করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। সেতু নির্মিত হলে সাচার বাজারে আসতে ছয়টি গ্রামের মানুষের দুই কিলোমিটার পথ কমে যাবে। বিষয়টি তিনি স্থানীয় সাংসদকে একাধিকবার জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আহসান হাবিব বলেন, ‘এলাকা থেকে আমার কাছে কেউ সেতু নির্মাণের বিষয়ে কোনো প্রস্তাব দেয়নি। তারপরও আমি সরেজমিনে সাঁকোটি দেখব। পরে স্থানীয় সাংসদের সঙ্গে আলোচনা করে সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’