কতজন দরিদ্র শিক্ষার্থী পড়ার সুযোগ পেয়েছেন, জানানোর নির্দেশ

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুসারে, দেশের ১০৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কতজন দরিদ্র শিক্ষার্থী পড়ার সুযোগ পেয়েছেন, এই সংখ্যাসহ বিস্তারিত তথ্য জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আইন অনুসারে, এসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত গবেষণার জন্য কত টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, সে তথ্যও জানাতে বলা হয়েছে।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানকে ৬০ দিনের মধ্যে ওই সব বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। আগামী ১৪ আগস্ট শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

২০১০ সালের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের এ-সংক্রান্ত বিধান বাস্তবায়নে নির্দেশনা চেয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন ১৬ মে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রিপন কুমার বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

পরে আইনজীবী জ্যোর্তিময় বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ৯(৪) ধারায় বলা আছে, প্রতি শিক্ষাবর্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য ৬ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করতে হবে এবং তাঁরা বিনা-বেতনে পড়ার সুযোগ পাবেন। আইনের ৯(৬) ধারা অনুযায়ী, মঞ্জুরি কমিশনের নির্ধারিত অংশ গবেষণার জন্য বরাদ্দ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তা ব্যয় করার কথা। এসব বিধান বাস্তবায়িত না হওয়ার প্রেক্ষাপটে রিটটি করা হয়।

রুলে ২০১০ সালের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ৯(৪), ৯(৬), ১২ ও ৪৯ ধারার বিধান বাস্তবায়ন নিশ্চিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। বিধানগুলো বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।