করোনার টিকাদান কর্মসূচিতে যুক্ত হলো ব্র্যাক

করোনা টিকাদান কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক। ঢাকায় নয়টি ও সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে ৩ হাজারের বেশি টিকাকেন্দ্রে সহায়তা দেবে ব্র্যাকের কর্মীরা।

আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে ব্র্যাক জানিয়েছে, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথের মিডওয়াইফদের সহায়তায় আজ থেকে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় নয়টি টিকাদান কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা করছে ব্র্যাকের কর্মীরা। এ ছাড়া দেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে ৩ হাজার ২১৪টি টিকাদান কেন্দ্রে সহায়তা দিচ্ছে ব্র্যাককর্মীরা।

ব্র্যাক জানিয়েছে, ঢাকার নয়টি টিকা দান কেন্দ্রগুলো হলো-বাড্ডার নুরের চালা সরকারি স্কুল ও শহীদ তুর্য প্রাথমিক বিদ্যালয়, পল্টন কমিউনিটি সেন্টারের কাউন্সিলরের কার্যালয়, ধানমন্ডি রোড ৮ /এ-তে ডিঙি, ধানমন্ডি কমিউনিটি সেন্টারে অবস্থিত কাউন্সিলরের কার্যালয়, হাতিরপুল কাঁচাবাজার কাউন্সিলরের কার্যালয়, সেগুনবাগিচা মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে কাউন্সিলরের কার্যালয়, নারিন্দার ফকির চাঁন সরদার কমিউনিটি সেন্টার এবং ডেমরায় এম এ সাত্তার হাই স্কুলে টিকাদান কর্মসূচিতে যুক্ত হলো ব্র্যাক।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব কেন্দ্র থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র থাকা ২৫ বছর ও তার চেয়ে বেশি বয়সী ব্যক্তিরা প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত করোনার টিকা নিতে পারবেন। ১২ আগস্ট পর্যন্ত এই সেবা চলবে। তবে টিকাগ্রহিতাকে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি বা সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধিত মোবাইল নম্বরটি সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে।

ব্র্যাক আরও জানিয়েছে, সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে যারা নিবন্ধন করেছেন, কিন্তু টিকা নেওয়ার খুদেবার্তা (এসএমএস) পাননি তারাও এসব কেন্দ্রে গিয়ে করোনার টিকা নিতে পারবেন। এ ছাড়া অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নারী, পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়স্ক নারী-পুরুষ, এবং শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা করোনার টিকা পাবেন। এই কেন্দ্রগুলোতে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হচ্ছে এবং টিকা কার্ডে পরবর্তী ডোজ টিকা দেওয়ার তারিখ টিকা কার্ডে লিখে দেওয়া হবে। ঢাকার ৯টি কেন্দ্রের প্রতিটি দৈনিক ৩৫০ জনকে করোনার টিকা দেওয়ার সক্ষমতা আছে।

ব্র্যাকের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা কর্মসূচির পরিচালক মোর্শেদা চৌধুরী বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারির শুরু থেকেই করোনা প্রতিরোধে কাজ করছে ব্র্যাক। এরই ধারাবাহিকতায় সরকারের নেওয়া টিকাদান কার্যক্রমকে আরও ত্বরান্বিত করতে কাজ শুরু করেছি আমরা। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে সর্বত্র সুশৃঙ্খলভাবে টিকাদান প্রক্রিয়া পরিচালনাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’