করোনায় আটকে যান ভারতে, চার মাস পর ফিরছেন দেশে

কলকাতা হাইকোর্ট
ফাইল ছবি।

ঢাকার রামপুরা এলাকার একজন নৃত্যশিল্পী গত এপ্রিলে ভারতে আসার পর করোনাভাইরাসের কারণে সীমান্ত বন্ধ থাকায় দেশে ফিরতে পারেননি। একপর্যায়ে তাঁর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে অবৈধ পথে বাংলাদেশে ফিরতে গিয়ে দীর্ঘ ৬৬ দিন কারাবাস করতে হয় তাঁকে। কয়েক দফা আইনি প্রক্রিয়া শেষে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে দেশে ফেরার অনুমতি পেয়েছেন তিনি।

জানা যায়, ভিসার মেয়াদ শেষ হলে ওই নারী দালালের মাধ্যমে উত্তর চব্বিশ পরগনার স্বরূপনগরের স্থলপথে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে গিয়ে ধরা পড়েন বিএসএফের হাতে। এরপর তাঁকে তোলা হয় বসিরহাট মহকুমার মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে। শুনানি শেষে অবৈধভাবে যাওয়ার চেষ্টা করায় তাঁকে ৬৬ দিনের কারাদণ্ড দেন আদালত।

কারাবাস শেষে আদালত তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ পেয়ে দেশে ফেরার জন্য ২২ আগস্ট ঢাকার ফ্লাইটের টিকিট কাটেন তিনি। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে দুই দেশের মধ্যে ফ্লাইট চালু না হওয়ায় বিপাকে পড়েন। অপরদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের আইনি জটিলতায় আটকে যায় তাঁর স্থলপথে বাংলাদেশে ফেরার প্রক্রিয়া।

এরপর তিনি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে আবেদন করেন স্থলপথে বেনাপাল সীমান্ত হয়ে দেশে ফেরার অনুমতির জন্য। শুনানি শেষে হাইকোর্ট তাঁকে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে দ্রুত বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির মাধ্যমে বেনাপোল দিয়ে তাঁকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দিতে বলেন আদালত।

আজ সোমবার কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে যোগাযোগ করা হলে এক কর্মকর্তা জানান, উপহাইকমিশন থেকে এনওসি (অনাপত্তিপত্র) নিয়ে তিনি বাংলাদেশে ফিরতে পারবেন। যদিও গতকাল পর্যন্ত তিনি এনওসি নেননি। অপরদিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ইতিমধ্যে তাঁকে বাংলাদেশে ফেরার অনুমতি দিয়েছে।