করোনা পরিস্থিতিতে সিডিসির ভ্রমণ সতর্কতা, সর্বোচ্চ ঝুঁকির তালিকায় বাংলাদেশ

ম্যাপে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে ঝুঁকির মাত্রা চিহ্নিত করা হয়েছে
ছবি: সিডিসি

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) মার্কিন নাগরিকদের জন্য করোনা পরিস্থিতিতে ভ্রমণ সুপারিশ হালনাগাদ করেছে। এই হালনাগাদ সুপারিশে সর্বোচ্চ ঝুঁকির দেশের তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে।

সিডিসির ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ জুন মার্কিন নাগরিকদের জন্য করোনা পরিস্থিতিতে ভ্রমণ সুপারিশ হালনাগাদ করা হয়েছে। সিডিসির ভ্রমণ সুপারিশে ঝুঁকির মোট পাঁচটি পর্যায় রয়েছে। যথা—অজ্ঞাত পর্যায়, পর্যায়-১, পর্যায়-২, পর্যায়-৩ ও পর্যায়-৪।

করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় দেওয়া ভ্রমণ সুপারিশে অজ্ঞাত পর্যায়ে থাকা দেশগুলোর ক্ষেত্রে ভ্রমণ এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। তবে যদি এই দেশগুলোতে ভ্রমণ করতেই হয়, তাহলে আগেই টিকার পূর্ণ ডোজ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

পর্যায় ১-এ থাকা দেশগুলো ভ্রমণের ক্ষেত্রে ঝুঁকির মাত্রা কম। এই পর্যায়ে থাকা দেশগুলোতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে আগেই টিকার পূর্ণ ডোজ নিতে বলা হয়েছে।

পর্যায়-২-এ থাকা দেশগুলো ভ্রমণের ক্ষেত্রে ঝুঁকির মাত্রা মাঝারি। এই পর্যায়ে থাকা দেশগুলোতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে আগেই টিকার পূর্ণ ডোজ নিতে বলা হয়েছে। যারা টিকা নেয়নি, পাশাপাশি করোনায় সংক্রমিত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি আছে, তাদের অপরিহার্য না হলে এই পর্যায়ে থাকা দেশগুলো ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

পর্যায়ে-৩-এ থাকা দেশগুলো ভ্রমণের ক্ষেত্রে ঝুঁকির মাত্রা উচ্চ। এই পর্যায়ে থাকা দেশগুলোতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে আগেই টিকার পূর্ণ ডোজ নিতে বলা হয়েছে। যারা টিকা নেয়নি, তাদের অপরিহার্য না হলে এই পর্যায়ে থাকা দেশগুলো ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

আর পর্যায়-৪-এ থাকা দেশগুলো ভ্রমণের ক্ষেত্রে ঝুঁকির মাত্রা খুবই উচ্চ। এই পর্যায়টি মার্কিন নাগরিকদের কোনো দেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে। এই পর্যায়ে থাকা দেশগুলো ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। যদি ভ্রমণ করতেই হয়, তাহলে আগেই টিকার পূর্ণ ডোজ নিতে বলা হয়েছে।

পর্যায়-৪-এ ৬১টি দেশ রয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়াও এই পর্যায়ে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনাসহ বিভিন্ন দেশ।

সিডিসির করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় দেওয়া ভ্রমণ সুপারিশে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘ভ্রমণ পরিহার করুন। তারপরও বাংলাদেশে যদি ভ্রমণ করতেই হয়, তাহলে আগেই টিকার পূর্ণ ডোজ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করুন।’

সিডিসির সুপারিশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বর্তমান যে পরিস্থিতি, তাতে এমনকি পূর্ণ ডোজ টিকা গ্রহণকারী ভ্রমণকারীরও ঝুঁকি আছে।