কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধে আইন প্রণয়নের দাবি

জাতীয় প্রেসক্লাবে জেন্ডার প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন
ছবি: প্রথম আলো

কর্মক্ষেত্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ২০০৯ সালে হাইকোর্ট ১১টি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেন। ওই রায়ে বলা হয়েছিল, সংসদে আইন প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত আদালতের এই নির্দেশ পালন করতে হবে। কিন্তু ১১ বছরেও এসব নির্দেশনা বাস্তবায়িত হয়নি। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে আইনও পাস হয়নি।

আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জেন্ডার প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা তুলে ধরা হয়। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের মানবাধিকার ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর জোট জেন্ডার প্ল্যাটফর্ম। ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে যৌন হয়রানিমুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে সংগঠনটি কাজ করছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) পরিচালক নাজমা ইয়াসমীন। সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি ২০০৮ সালে যৌন হয়রানিমুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে একটি রিট করে। রিটের আলোকে ২০০৯ সালে হাইকোর্ট ১১টি নির্দেশনা দেন। কিন্তু এত দিনেও নির্দেশনা বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কোনো আইনও পাস হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জেন্ডার প্ল্যাটফর্ম পূর্ণাঙ্গ আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে ‘সকল কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ আইন ২০১৮’-এর খসড়া তৈরি করে। আইন ও শ্রম মন্ত্রণালয়ে খসড়াটি পেশ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আইন প্রণয়ন হয়নি।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ‘কনভেনশন ১৯০’ প্রণয়ন করেছে। এখনো কোনো দেশ এটি অনুস্বাক্ষর করেনি। এই কনভেনশন অনুস্বাক্ষর করলে কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিকে সুদৃঢ় করবে।

সংবাদ সম্মেলনে কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়ন, কর্মক্ষেত্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠন, কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ আইন প্রণয়ন, আইএলও কনভেনশন ১৯০ অনুসমর্থন করা অন্যতম।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়াজ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাজমা আকতার, বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।