কাঁচা রাস্তা আর পাকা হয় না!

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কান্দারগাঁও গ্রামের কাঁচা সড়কের দৃশ্য। বৃষ্টি হলে কাদা মাড়িয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ গ্রামবাসীকে এ সড়কে চলাচল করতে হয়। গতকাল সকালে তোলা ছবি l  প্রথম আলো
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কান্দারগাঁও গ্রামের কাঁচা সড়কের দৃশ্য। বৃষ্টি হলে কাদা মাড়িয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ গ্রামবাসীকে এ সড়কে চলাচল করতে হয়। গতকাল সকালে তোলা ছবি l প্রথম আলো

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা থেকে কান্দারগাঁও গ্রামে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি কাঁচা। এটি পাকা করার দাবি ৪০ বছরের। বৃষ্টি হলে এ রাস্তায় চলাচলকারী মানুষকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আট হাজার মানুষের গ্রামটি সোনারগাঁয়ের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র মোগরাপাড়া চৌরাস্তা থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দক্ষিণে আর মেঘনাঘাট শিল্পনগরী এলাকা থেকে দুই কিলোমিটার উত্তরে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পিরোজপুরের জৈনপুর থেকে গ্রামের কাঁচা রাস্তাটি শুরু হয়ে পশ্চিম কান্দারগাঁও হয়ে পূর্ব কান্দারগাঁও পর্যন্ত গেছে। রাস্তাটির দৈর্ঘ্য দেড় কিলোমিটার। এ গ্রামে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে পড়াশোনা করতে গ্রামের ছেলেমেয়েরা কাঁচা রাস্তা ব্যবহার করে দুই কিলোমিটার দূরের মোগরাপাড়া এইচজিজিএস স্মৃতি বিদ্যায়তন, সোনারগাঁ ডিগ্রি কলেজ ও সোনারগাঁ কাজী ফজলুল হক উইমেন্স কলেজে যাতায়াত করে। গ্রামটির অধিকাংশ মানুষ স্থানীয় বিভিন্ন শিল্পকারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। অনেকে কৃষিকাজও করেন।
গ্রামের বাসিন্দা মাজহারুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি হলে কাঁচা রাস্তায় কাদাপানি জমে থাকে। তখন রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলতে পারে না। এমনকি হেঁটে চলাচলও কঠিন হয়ে পড়ে। পূর্ব কান্দারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মতিউর রহমান বলেন, ৪০ বছর ধরে এ রাস্তা পাকা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন জনপ্রতিনিধিরা।
পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, ‘এ গ্রামের বাসিন্দারা পাকা সড়কের অভাবে দুর্ভোগে আছেন। আমি এ সড়ক পাকা করার ব্যবস্থা করব।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু নাছের ভূঁঞা বলেন, এ বছর অবশ্যই সড়কটি পাকা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।