কিস্তিতে কিনুন মোটরসাইকেল

কিস্তিতে মোটরসাইকেল কেনার আগে কিছু বিষয় জানা জরুরি।
ছবি: সংগৃহীত

নতুন মোটরসাইকেলের স্বপ্ন সবার মনেই থাকে। কিন্তু স্বাদ আর সাধ্যের মধ্যে দেখা দেয় তফাৎ। তাই বলে মোটরসাইকেল কেনা হবে না? হবে না স্বপ্নপূরণ? প্রিয় এই বাহন ইচ্ছে করলেই কিস্তিতে কিনতে পারবেন আপনি। দেশে এখন অধিকাংশ মোটরসাইকেল কোম্পানি কিস্তিতে কেনার সুযোগ দিচ্ছে। কিন্তু কিস্তিতে মোটরসাইকেল কেনার আগেও মাথায় নানা চিন্তাÑকীভাবে কিনব, কোথা থেকে কিনব। সেই চিন্তা দূর করতে কিছু তথ্য জানা জরুরি।

টিভিএস অটো বাংলাদেশের ব্র্যান্ড ম্যানেজার মারুফ হাসান জানান, ‘কিস্তিতে মোটরসাইকেল কিনতে হলে আপনাকে অবশ্যই কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে। যদিও একেক কোম্পানির কিস্তির নিয়ম একেক রকম। কিন্তু কিছু নিয়ম সব কোম্পানির জন্যই এক। বর্তমানে আমাদের দেশে ইয়ামাহা, বাজাজ, টিভিএস, হিরো, রানার ইত্যাদি কোম্পানি কিস্তিতে মোটরসাইকেল কেনার সুযোগ রেখেছে। ফলে একজন বাইকার চাইলে খুব সহজে তাঁর পছন্দের বাইকটি কিনতে পারবেন।’

কিস্তিতে মোটরসাইকেল কিনতে যা প্রয়োজন

  • জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের ফটোকপি

  • ঠিকানার প্রমাণ-দলিল, যেমন বাসার শেষ তিন মাসের ইউটিলিটি বিলের

  • ফটোকপি

  • সর্বশেষ তিন থেকে ছয় মাসের ব্যাংকের বিবৃতি বা কেবল সক্রিয় ব্যাংক

  • অ্যাকাউন্ট

  • কর্মস্থলের প্রমাণপত্র : যদি ব্যবসায়ী হন তাহলে হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স জমা দিতে হবে, তবে সেটা চলমান এক বছরের না হলেও হবে । আর যদি চাকরিজীবী হন তাহলে বেতন স্লিপ বা বেতন প্রশংসাপত্র।

টাকা-পয়সার লেনদেন পদ্ধতি : এমআইসিআর চেক বা একটি সিকিউরিটি এমআইসিআর / নন এমআইসিআর চেক (অনলাইন শাখা) প্রাপ্ত (তারিখ ব্যতীত)। নগদ ডিএস/বিকাশ/রকেট দ্বারা মাসিক ইনস্টলমেন্ট সংগ্রহ।

কোম্পানির ধরন : লেটার হেড এবং পোস্ট তারিখের চেকের ওপর গ্যারান্টর অ্যাফিডেভিট সরবরাহ করবে সংস্থা।

গ্যারান্টারের বিকল্প : দুর্বল পক্ষের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, গ্যারান্টারকে জিজ্ঞাসা করা, গ্যারান্টারের কাছ থেকে প্রাপ্য গুলো জিজ্ঞাসা করা (গ্যারান্টর ফটো, এনআইডি কপি, পোস্ট তারিখের চেক সরবরাহ করবে, গ্যারান্টার অ্যাফিডেভিট ২০০ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে লেখা থাকবে, নোটারিযুক্ত অনুলিপি)।

কিস্তিতে মোটরসাইকেল কেনার সুবিধা-অসুবিধা

যেকোনো পছন্দের ব্র্যান্ডের বাইক কিনতে পারবেন। এতে এককালীন বেশি টাকা খরচ হবে না। স্বল্প সময়ের মধ্যে অল্প টাকায় অত্যাধুনিক ফিচারের বাইক নিতে পারবেন।
তবে সে ক্ষেত্রে বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি ইন্টারেস্টে বাইকের মূল্য দিতে হয়। বাইকের কোনো ক্ষতি হলে কিংবা চুরি হয়ে গেলে ক্ষতিপূরণ আপনাকেই দিতে হবে। সঙ্গে আছে সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ না-করা পর্যন্ত মানসিক চিন্তার বিষয়টি।