কুষ্টিয়ায় নারী চরমপন্থীসহ দুজন আটক

চরমপন্থী সংগঠন গণমুক্তিফৌজের আরও এক নারী সদস্যসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সদর থানার আড়ুয়াপাড়ার একটি বাড়ি থেকে তাঁদের আটক করা হয়। আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন নাহিদ পারভীন চম্পা (২৪) ও তুষার (২৩)। একে-৪৭ রাইফেলসহ গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামী লীগের নেত্রী তাসলিমা খান আঁখির জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে পুলিশ তাঁদের আটক করে।কুষ্টিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার (সদর দপ্তর) আলমগীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটার দিকে পুলিশ জানতে পারে আড়ুয়াপাড়ায় তুষারের বড় ভাই তুহিনের বাড়িতে চম্পা ও তুষার গোপন বৈঠক করছেন। এরপর তাঁদের আটক করা হয়। এ সময় তুহিন পালিয়ে যান। চম্পা শহরের আমলাপাড়ার আবুবক্করের মেয়ে ও তুষার আড়ুয়াপাড়ার রবিউল হাসানের ছেলে।আটকের পর চম্পা পুলিশকে জানান, তিনি গত সোমবার রাতে একে-৪৭ রাইফেলসহ গ্রেপ্তার হওয়া শহর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাসলিমা খান আঁখির ভাইয়ের শ্যালিকা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে চরমপন্থী দলের নারী সদস্য হয়ে অস্ত্র আদান-প্রদান ও মাদক ব্যবসা করে আসছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেন।এদিকে গত বুধবার গ্রেপ্তার করা বৈশাখী রহমান চুমকিকে ভেড়ামারা থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে গ্রেপ্তার করে গতকাল বিচারিক হাকিমের আদালতে নেওয়া হয়।আদালতে চুমকি ১৬৪ ধারায় স্বীকরোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। হাকিম সেলিনা আকতার তাঁর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দিতে চুমকি সন্ত্রাসীদের তত্পরতা, তাঁর কথিত দ্বিতীয় স্বামী সবুজ হত্যাকাণ্ড, ভোড়ামারার আনোয়ার অপহরণের বিষয়ে পুলিশের কাছে তথ্য দিয়েছেন বলে জানা গেছে।পুলিশ জানায়, আওয়ামী লীগের নেত্রী আঁখিসহ গ্রেপ্তার চারজনের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে আঁখি তাঁর স্বামী কুষ্টিয়া পৌরসভার সাবেক কমিশনার হায়দার খানের ব্যাপারেও বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ আঁখিকে যুবলীগের নেতা জামু হত্যাকাণ্ডের বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে জানা গেছে। আঁখিসহ গ্রেপ্তার চারজনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।