কোনো অবস্থায় মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে ঘৃণা করবেন না
>

প্রথম আলো ট্রাস্ট মাদকবিরোধী আন্দোলন প্রতি মাসে মাদকবিরোধী পরামর্শ-সহায়তার আয়োজন করে থাকে। দেশের বিশিষ্ট মনোরোগ চিকিৎসক ও কাউন্সিলর ব্যক্তিগতভাবে সমস্যার ধরন অনুযায়ী পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বিনা মূল্যে এই সেবা গ্রহণ করতে ০১৭১৬২৪২২১৫ নম্বরে কল করে নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হয় অথবা অনুষ্ঠানে সরাসরি হাজির হওয়া যায়। পরামর্শ-সহায়তা যাঁরা নিতে আসেন, তঁাদের সামাজিক পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রাখা হয়। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বর সড়কে ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় ৭৯তম পর্ব। মাদকাসক্ত রোগী ও তঁাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরামর্শ-সহায়তা অনুষ্ঠানের আলোচিত বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো
প্রশ্ন: আমি আট বছর ধরে মাদকাসক্ত। কেন মাদক নিতাম, জানি না। কয়েক মাস হলো মাদক ছেড়েছি। এখন কী করণীয়?
সমাধান: মাদক ছাড়ার জন্য আমাদের সবার পক্ষ থেকে অভিনন্দন। মাদকাসক্ত রোগ অন্য সাধারণ রোগের মতো না। অন্য অসুখ থেকে কেউ মুক্তি পেলেও তা ফিরে আসা নিয়ে কোনো উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থাকে না। কিন্তু কেউ মাদক ছেড়ে দিলে যেকোনো সময় আবার মাদকাসক্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। মাদকাসক্ত রোগটি বারবার ফিরে আসে। আপনি এখনো মাদকাসক্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন। আমরা বলি, কেউ মাদক ছেড়ে দেওয়ার পর কমপক্ষে দেড় থেকে দুই বছর মাদক গ্রহণ না করলে তিনি মাদকমুক্ত আছেন। মাদকমুক্ত থাকতে নিজের সঙ্গে করতে হয় যুদ্ধ। একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকুন। তা না হলে যেকোনো সময় আবার ফাঁদে পড়ে যেতে পারেন। অনেকেরই এমন হয়েছে। প্রতি মাসে আমাদের এ অনুষ্ঠানে আসতে পারেন। আবার জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে আসতে পারেন।
প্রশ্ন: আমি ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিল—সবই খেয়েছি। এখন মাদক নিই না। তবে বন্ধুদের সঙ্গে সিগারেট খাই। বন্ধুদের জন্য সিগারেট খেতে হয়। এখন কী করব?
সমাধান: মাদক ছেড়ে দিলে কেউ মাদকমুক্ত হয়েছে—এটা কখনোই বলা যাবে না। কারণ, মাদক ছাড়ার পরও দীর্ঘদিন মাদকের প্রভাব শরীরে থাকে। তাই যেকোনো সময় মাদকাসক্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তার ওপর সিগারেট নিজেই একটা মাদক। সিগারেট মাদক থেকেও ভয়ংকর। ভয়ংকর এ জন্য যে অধিকাংশ মাদকাসক্ত সিগারেটের নেশা থেকেই মাদকের নেশায় জড়িয়ে গেছেন। মাদকমুক্ত থাকতে হলে অবশ্যই সিগারেট থেকে দূরে থাকতে হবে। তা না হলে সিগারেটের নেশা আবার আপনাকে মাদকের দিকে নিয়ে যাবে। আপনি যেহেতু মাদক ছেড়েছেন, তাই সিগারেট ছাড়া আপনার জন্য খুব সহজ। মাদক ছেড়ে দিলে কিছু শারীরিক প্রতিক্রিয়া হয়। আবার মাদক না নিলে চরম অস্থিরতা তৈরি হয়। সিগারেটে এমন কিছু হয় না। শারীরিক কোনো প্রতিক্রিয়া হয় না। সিগারেটের বিষয়টি সম্পূর্ণ মানসিক। কেবল মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে, সহজেই সিগারেট ছাড়তে পারবেন। মনের দিক থেকে শক্তভাবে প্রতিজ্ঞা করতে হবে, আমি আর কোনো দিন সিগারেট খাব না। মাত্র এক থেকে দুই সপ্তাহ না খেলে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। এরপরও কোনো সমস্যা থাকলে নিকোটিন গামসহ কিছু ওষুধ পাওয়া যায়। ডাক্তারের পরামর্শে এগুলো খেতে পারেন।
প্রশ্ন: আমার সন্তান দীর্ঘদিন মাদকাসক্ত। এখন মাদক ছেড়েছে। নিজের ইচ্ছেমতো চলাফেরা করে। পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে মেশে। ওর জন্য আমাদের করণীয় কী?
সমাধান: আপনার সন্তান সম্প্রতি মাদক ছেড়েছে। সে এখনো সম্পূর্ণ ঝুঁকির মধ্যে আছে। যেকোনো সময় মাদকাসক্ত হতে পারে। মাদক ছাড়ার পরও শরীরে মাদকের ভীষণ প্রভাব থাকে। তাই যেকোনো সময় আবার মাদকাসক্ত হতে পারে। পুরোনো বা মাদকাসক্ত বন্ধুদের সঙ্গে থাকলেও মাদক গ্রহণের ঝুঁকি থাকে। কেবল মাদক ছেড়ে দিলে তাকে বলে রিকভারি। কমপক্ষে এক বছর না নিলে তাকে বলে আরলি রিকভারি। দুই বছর মাদক না নিলে তাকে বলা হয়, সাসটেইন রিকভারি। আপনার সন্তান প্রাথমিক রিকভারি পর্যায়ে আছে। তাই সব সময় তার দেখাশোনা করতে হবে। তত্ত্বাবধান করতে হবে। কোথায় যাচ্ছে, কী করছে, কাদের সঙ্গে মিশছে—সব ধরনের খোঁজখবর রাখতে হবে।
পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে একেবারেই মিশতে দেওয়া যাবে না। তাকে কোনো না কোনো ভালো রিহ্যাব সেন্টার অথবা মাদক বিশেষজ্ঞের পরামর্শে থাকতে হবে। অবশ্যই পুরোনো বন্ধুদের থেকে দূরে থাকতে হবে। বন্ধুদের মধ্যে যদি কেউ মাদক গ্রহণ করে, তাকে দেখলেই মাদক নিতে ইচ্ছে করবে। মাদকের ভাষায় একে বলে ‘ট্রিগার অন’। অর্থাৎ পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে মিশলে, যেসব জায়গায় মাদক নিত, সেসব জায়গায় গেলে, কাউকে মাদক নিতে দেখলে, হাতে টাকাপয়সা থাকলে, মুঠোফোন ব্যবহার করলে এমনকি মাদকের ছবি দেখলেও তার মাদক গ্রহণের প্রবল ইচ্ছে তৈরি হবে। তাই পুরোনো বন্ধুসহ ক্ষতিকর অনেক কিছুই জীবন থেকে বাদ দিতে হবে।
পরিচ্ছন্নভাবে দুই বছর সময় অতিবাহিত করতে পারলে সম্পূর্ণ মাদকমুক্ত হতে পারবে। আমাদের এ অনুষ্ঠানে প্রতি মাসে একবার আনতে পারেন। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিতে পারেন।
প্রশ্ন: আমি ছয়-সাত বছর মাদক নিয়েছি। এখন বন্ধ করেছি। কিন্তু মা-বাবা সন্দেহ করেন। বাইরে থেকে বাসায় ফিরলেই মনে করেন মাদক গ্রহণ করেছি। এখন কী করব?
সমাধান: মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন না করলে যেকোনো সময় মাদকাসক্ত হতে পারে। আপনি অনেক বছর মাদকাসক্ত ছিলেন। মা-বাবাকে অনেক যন্ত্রণা দিয়েছেন। অনেক টাকাপয়সা নষ্ট করেছেন। জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট করেছেন। এ জন্য হঠাৎ করে তাঁরা আপনাকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। তাঁদের আস্থা অর্জনের জন্য আপনাকেও কিছু করতে হবে। তাঁদের প্রতি আপনাকে আরও বেশি বিনয়ী হতে হবে। তাঁদের কথা ঠিকভাবে শুনতে হবে। রাতে বাসায় ফেরা বন্ধ করুন। আপনার চলাফেরা, আচরণ, খারাপ—সবকিছু বদলে ফেলুন। এমন কাজ করুন, যাতে তাঁরা বিশ্বাস করতে পারেন আপনি আর এখন মাদক নিচ্ছেন না। দীর্ঘদিন মা-বাবাকে দুশ্চিন্তার মধ্যে রেখেছেন। অশান্তির মধ্যে রেখেছেন। তাই খুব সহজে আপনার প্রতি আস্থা ফিরে আসবে, এটা ঠিক না। আপনার প্রতি বিশ্বাস ফিরে আসার আস্থা আপনাকেই অর্জন করতে হবে।
প্রশ্ন: আমার বয়স ২৮ বছর। বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে ইয়াবা খাই। কিছুদিন খাওয়ার পর ক্ষতিকর দিকগুলো বুঝতে পারি। এখন ছাড়তে চেষ্টা করছি। কিন্তু পারছি না। কীভাবে ইয়াবা ছাড়তে পারব?
সমাধান: ইয়াবা সম্পর্কে কিছু মিথ্যা ধারণা আছে। এটা খেলে ব্রেনে একধরনের উত্তেজনা তৈরি হয়। পুলক অনুভব হয়। বিভিন্ন রকম আনন্দ পাওয়া যায়। কয়েক দিন খেলে মানুষ ইয়াবার ওপর নির্ভরশীল হয়ে যায়। তারপর ইয়াবা ছাড়তে চাইলেও সহজে ছাড়া যায় না। ছেড়ে দিলে ঘুম আসে। শক্তিহীন লাগে। কোনো কিছুতে উদ্যম পাওয়া যায় না। সবকিছু ফাঁকা ফাঁকা লাগে। তখন আবার ইয়াবা নিতে বাধ্য হয়। আপনার জন্য সবচেয়ে বড় ইতিবাচক দিক হলো নিজেই ছাড়তে চাচ্ছেন। অভিজ্ঞতায় দেখেছি, কোনো মাদকাসক্ত রোগী যদি নিজে ছাড়তে চায়, তাহলে সে অবশ্যই মাদক থেকে ফিরে আসতে পারে। আপনার পুরোনো বন্ধু, মুঠোফোন, টাকা, যে জায়গায় মাদক নিতেন, যে সময় মাদক নিতেন—এসব থেকে মুক্ত থাকতে হবে। স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
প্রশ্ন: আমার স্বামী ২০ বছর ধরে মাদক নিচ্ছে। সাত-আট বছর ধরে খুব বেশি নিচ্ছে। তার লিভারের অবস্থা খুব খারাপ। মাঝেমধ্যে উত্তেজিত হয়ে যায়। আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। কী করব?
সমাধান: আপনার স্বামীর লিভারের অবস্থা খারাপ। সম্ভবত অতিরিক্ত মাদক গ্রহণের ফলেই লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ অবস্থায় তাঁর মাদক গ্রহণ করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় আরও বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তাঁর লিভার ও মাদক দুই ধরনের চিকিৎসারই প্রয়োজন হবে। পরিবারের দায়িত্বশীল সদস্যরা তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে অতি দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন এবং সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নিন।
প্রশ্ন: আমার ছেলে প্রায় সাত বছর ধরে মাদক নেয়। চিকিৎসা করিয়েছি। ভালো হয় না। রাত জাগে। দিনে ঘুমায়। টাকাপয়সার জন্য সব সময় চাপ দেয়। পড়াশোনা, খাওয়াদাওয়া ঠিকমতো করে না। ঢাকায় নিয়ে এসেছি। সে আবার এলাকায় ফিরে যেতে চায়। এখন কী করব?
সমাধান: মাদক চিকিৎসার পর যে কেউ পুনরায় মাদকাসক্ত হতে পারে। এতে ভেঙে পড়ার কিছু নেই। আপনাদের ধৈর্যের সঙ্গে এ সমস্যাকে মোকাবিলা করতে হবে। হতাশ হলে চলবে না। চিকিৎসার মাধ্যমে মাদকাসক্ত রোগী নিশ্চিতভাবে ভালো হয়। প্রয়োজন ধৈর্যের সঙ্গে চিকিৎসা করা। সন্তানের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা যাবে না। তাকে বোঝানোর চেষ্টা করতে হবে। ভালো হয় পারিবারিকভাবে সবাই তার সঙ্গে কথা বলা। তার কথা মন দিয়ে শুনতে হবে। সে মাদকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে গেছে। তার নিজের ওপর কীভাবে নিয়ন্ত্রণ আসে, সে ব্যাপারে চেষ্টা করতে হবে। দ্রুততার সঙ্গে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
প্রশ্ন: আমি সিগারেট খাই। এখন ছাড়তে চাই। কিন্তু পারছি না। কীভাবে সিগারেট থেকে মুক্ত থাকব?
সমাধান: অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, মাদকাসক্ত ব্যিক্তদের অধিকাংশই ধূমপানের মাধ্যমে নেশায় জড়িয়েছে। ধূমপান না করলে মাদক গ্রহণের আশঙ্কা অনেকাংশে কম হতো। তা ছাড়া ধূমপানেরই মারাত্মক ক্ষতি রয়েছে। কোনো বাবা যদি ধূমপান করেন, তাহলে তাঁর স্ত্রীর ফুসফুসে ক্যানসার হতে পারে। সন্তানের শ্বাসতন্ত্রে প্রদাহ (ব্রঙ্কাইটিস) হতে পারে, সন্তান বিকলাঙ্গ হতে পারে। ধূমপানের উল্লেখযোগ্য কিছু ক্ষতিকর দিক হলো, ফুসফুসে ক্যানসার, মুখে ক্যানসার, শ্বাসতন্ত্রে প্রদাহ, স্ট্রোক, বিকলাঙ্গ ইত্যাদি। এক জরিপে দেখা গেছে, ধূমপানের জন্য বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মুখের ক্যানসার হয় বাংলাদেশে। দেশলাই, সিগারেট যেখানে থাকে, সেসব জায়গা এড়িয়ে চলুন। তেঁতুলের চকলেট, পোলো, দারুচিনি এগুলো জিহ্বায় রাখতে পারেন। কোনোভাবে ছাড়তে না পারলে চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ খেতে হবে। সব সময় মানুষের সঙ্গে থাকা এবং বিনোদনমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে।
যাঁরা পরামর্শ দিয়েছেন
* ডা. আহমেদ হেলাল, সহকারী অধ্যাপক জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
* ডা. ফারজানা রহমান, সহকারী অধ্যাপক জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
* ডা. মেখলা সরকার, সহকারী অধ্যাপক জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
* ডা. ফারজানা রাবিন, সহযোগী অধ্যাপক হলি ফ্যামিলি রেডক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ, ঢাকা
* ডা. শাহানা পারভীন, সহকারী অধ্যাপক জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
* ডা. মো. জিল্লুর রহমান খান, সহকারী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
* ডা. মো. জোবায়ের মিয়া, সহকারী অধ্যাপক, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ, গাজীপুর
* ব্রাদার রোনাল্ড ড্রাহোজাল, নির্বাহী পরিচালক, আপন, আসক্তি পুনর্বাসননিবাস
সঞ্চালনা : আজিজা আহমেদ
গ্রন্থনা: ফেরদৌস ফয়সাল
দুটি পরামর্শ
ঘৃণা করবেন না: কোনো অবস্থায় মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে ঘৃণা করা যাবে না। সব সময় বন্ধুর মতো আচরণ করার চেষ্টা করতে হবে। মনে করতে হবে, সে একটা বিপদে পড়েছে। এ বিপদ থকে তাকে রক্ষা করা সবার দায়িত্ব।
ধৈর্য হারাবেন না: দ্রুত আরোগ্য লাভের সুযোগ নেই। দেশ–বিদেশে কোথাও দ্রুত কোনো চিকিত্সার পদ্ধতি নেই। সুস্থ হয়ে আবার সে মাদক নেবে না, এই নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবে না।
টেলিফোনে পরামর্শ–সহায়তা
প্রতি মাসে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ প্রথম আলো কার্যালয়ে বসে ৯১২১২২৩ নম্বরে টেলিফোনে পরামর্শ–সহায়তা দেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার ৩২তম আয়োজনে ১৯ জন মাদকাসক্ত ব্যক্তি ডা. মো. জোবায়ের মিয়ার কাছ থেকে পরামর্শ নেন।
পরবর্তী আয়োজন
তারিখ : ৪ মার্চ, শনিবার
সময় : বিকেল ৪টা
স্থান : ডব্লিউভিএ মিলনায়তন, বাড়ি–২০,সড়ক–২৭ (পুেরানো), ধানমন্ডি, ঢাকা।
যোগাযোগ : ০১৭১৬২৪২২১৫