কোর অব সিগন্যালস-এর ‘কর্নেল কমান্ড্যান্ট’ হিসেবে অভিষিক্ত হলেন সেনাপ্রধান

সেনাবাহিনীর কোর অব সিগন্যালসের ১০ম ‘কর্নেল কমান্ড্যান্ট’ হিসেবে অভিষিক্ত হলেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। যশোর সেনানিবাসে অবস্থিত সিগন্যাল ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড স্কুলের প্যারেড গ্রাউন্ডে আজ মঙ্গলবার সামরিক রীতি ও ঐতিহ্য মেনে এ অভিষেক অনুষ্ঠান হয়। অভিষেক অনুষ্ঠানে কোর অব সিগন্যালসের জ্যেষ্ঠতম অধিনায়ক এবং মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার সেনাবাহিনীর প্রধানকে কর্নেল কমান্ড্যান্ট র‌্যাংক-ব্যাজ পরিয়ে দেন। আজ মঙ্গলবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানিয়েছে।

প্যারেড স্কয়ারে পৌঁছালে সেনাবাহিনীর প্রধানকে আনুষ্ঠানিক অভিবাদন জানানো হয়। কোর অব সিগন্যালসের একটি চৌকস দল তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সেনাবাহিনীর প্রধান কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে ঐতিহ্যবাহী সামরিক নীতি অনুযায়ী কোর অব সিগন্যালসের অভিভাবকের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন।

অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি স্বাধীনতার মহান স্থপতি এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। একই সঙ্গে তিনি স্মরণ করেন মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সিগন্যাল কোরের বীর সেনানীসহ সব বীর মুক্তিযোদ্ধাকে। এ সময় তিনি আধুনিক যোগাযোগ, যোগাযোগ নিরাপত্তা, তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন ও গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করে সিগন্যাল কোরের সব সদস্যকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার জন্য দিকনির্দেশনা দেন।

অনুষ্ঠান শেষে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ কোর অব সিগন্যালসের বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলন-২০২২-এ যোগ দেন। তিনি সম্মেলনে উপস্থিত সব সিগন্যাল ইউনিটের অধিনায়ক এবং অন্য কর্মকর্তাদের উদ্দেশে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন। কোর অব সিগন্যালসের উন্নয়ন, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও দেশে-বিদেশে পরিচালিত কার্যক্রম বিষয়ে মতবিনিময় করেন। এ সময় সেনাবাহিনীর প্রধান কোর অব সিগন্যালসের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য এবং দেশমাতৃকার সেবায় এ কোরের অবদানের কথা স্মরণ করেন এবং আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত থাকতে কোর অব সিগন্যালসের সব সদস্যের প্রতি আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও কোর অব সিগন্যালসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ইউনিট প্রতিনিধিরা এবং যশোর এরিয়ার বিভিন্ন পদবির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।