কোয়ারেন্টিনে অন্য রকম আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস

কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সবাই আমরা এখন হোম কোয়ারেন্টিনে। সম্ভবত এবারই প্রথম বিশ্বের প্রায় প্রত্যেক মানুষ তার পরিবারের সঙ্গে, পরিবারের মাঝে বেশি সময় কাটাচ্ছে। হয়তো পরিবারের সঙ্গে এত লম্বা সময় কাটানোটা একরকম স্বস্তির, তবে বাহ্যিক বিষয়টা খুবই ভয়ংকর। কারণ, সারা বিশ্বে মহামারির রূপ ধারণ করেছে এই মরণঘাতী ভাইরাস। তাই বিশ্ববাসী পরিবারের সঙ্গে থাকলেও হয়তো বেশির ভাগ মানুষ ভুলে গেছে আজ আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস।
প্রতিবছর ১৫ মে আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ১৯৮৯ সালের ৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিবারগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত গুরুত্বকে তুলে ধরার লক্ষ্যে দিবসটি ঘোষণা করা হয়েছিল। ১৯৯৩ সালে সাধারণ পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে প্রতিবছরের ১৫ মে পরিবারের আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে পালন করা উচিত। জাতিসংঘের মতে, দিনটি পরিবার সম্পর্কিত সমস্যাগুলো সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর এবং পরিবারগুলোকে প্রভাবিত সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং জনসংখ্যার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জ্ঞান বাড়ানোর একটি সুযোগ সরবরাহ করে।
১৯৯৬ সাল থেকেই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। এই বছর থিমটি হলো ‘পরিবারগুলোতে বিকাশ: কোপেনহেগেন এবং বেইজিং-২৫’। থিমটি বাছাইয়ের কারণ তুলে ধরে জাতিসংঘের বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘কোপেনহেগেন ঘোষণাপত্রের এই বছরের ২৫তম বার্ষিকী এবং বেইজিং প্ল্যাটফর্ম এক চ্যালেঞ্জিং বিষয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য ও সামাজিক সংকটের সময়ে এসেছে।’ ২০২০ কোভিড-১৯ মহামারিটি সবচেয়ে দুর্বল ব্যক্তি ও পরিবারকে সুরক্ষিত সামাজিক নীতিগুলোতে বিনিয়োগের গুরুত্বকে বেশি ফোকাসে এনেছে। এটি সেই পরিবারগুলো যারা সংকটের ফলস্বরূপ বহন করে, তাদের সদস্যদের ক্ষতির হাত থেকে আশ্রয় দেয়, স্কুলবহির্ভূত বাচ্চাদের দেখাশোনা করে এবং একই সঙ্গে তাদের কাজের দায়িত্ব অব্যাহত রাখে।
বিশ্ব যখন কোভিড-১৯ থেকে মানবজাতিকে বাঁচাতে সংগ্রাম করছে, ঠিক এমন সময়ই আমরা নিজ নিজ পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর মাধ্যমে পালন করছি ‘আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস’।
লেখক : প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, ময়ূরপঙ্খী শিশু-কিশোর সমাজকল্যাণ সংস্থা