খালেদা জিয়ার জন্মতারিখ বিষয়ে তথ্য চাইলেন হাইকোর্ট

খালেদা জিয়া
ফাইল ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিনের বিভিন্ন তারিখ ব্যবহার বিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার জন্মতারিখ বিষয়ে যাবতীয় তথ্য আগামী ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্যসচিবসহ বিবাদীদের প্রতি এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

খালেদা জিয়ার বিভিন্ন জন্মতারিখ ব্যবহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মামুনুর রশিদ রিটটি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় ও বিপুল বাগমার।

এ ছাড়া আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন শুনানিতে অংশ নেন। তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় প্রথম আলোকে বলেন, রিট আবেদনে খালেদা জিয়ার পাঁচটি জন্মদিন ব্যবহারের কথা উল্লেখ রয়েছে। তাঁর এসএসসির নম্বরপত্রে জন্মতারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬। বিবাহ নিবন্ধনে জন্মতারিখ লেখা রয়েছে ৪ আগস্ট ১৯৪৪। ২০০১ সালে নেওয়া তাঁর মেশিন রিডেবল পাসপোর্টে জন্মতারিখ ৫ আগস্ট ১৯৪৬। চলতি বছরের মে মাসে তাঁর করোনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে জন্মতারিখ লেখা আছে ৮ মে ১৯৪৬। এ ছাড়া জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্ট তিনি জন্মদিন পালন করেন।

খালেদা জিয়ার জন্মদিনের এই বিভিন্ন তারিখ ব্যবহারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নিষ্ক্রিয়তা নিয়েই রিটটি করা হয়েছে বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।