খালের পানিতে ভাসছিল নিখোঁজ শিশুটির লাশ

প্রতীকী ছবি

পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নের ভাড়ারা গ্রাম থেকে শনিবার এক মাদ্রাসাছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে। ছেলেটি বাবার ভ্যানসহ চার দিন আগে নিখোঁজ হয়েছিল।
নিহত শিশুটির নাম বেলাল হোসেন (১১)। সে জেলা সদরের আতাইকুলা ইউনিয়নের চোরমপুর গ্রামের আফজাল হোসের ছেলে ও শ্রীকোল ফুরকানিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ছিল।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৯ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে বেলাল হোসেন তার বাবার ভ্যানগাড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। এরপর বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। শনিবার বেলা ২টার দিকে ভাড়ারা মসজিদের পাশের খালে কচুরিপানার ভেতর একটি মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয় ব্যক্তিরা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ ও ক্যানেলের পাশ থেকে ভ্যানগাড়িটি উদ্ধার করে। পরিবারের লোকজন এসে লাশটি শনাক্ত করেন। পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ মুকুল হোসেন নামের একজনকে আটক করে। আটক মুকুল হোসেন আতাইকুলা থানার চোরমপুর গ্রামের আবদুল হাইয়ের ছেলে।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ভ্যানগাড়িটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ছেলেটিকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তর জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো মামলা হয়নি।