খুন হওয়া জীবন চন্দ্র চাঁদা দাবি করেছিলেন জালিয়াত রবিউলের কাছে

গ্রেপ্তার রবিউল আলম
ছবি: সংগৃহীত

বড় ভাই শফিকুল আলমের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সনদ দিয়ে চাকরি নিয়েছিলেন রবিউল আলম। আর ৫০ হাজার টাকা না দিলে সে খবর ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন জীবন চন্দ্র দাশ। এ নিয়ে কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে জীবনকে হত্যা করেন রবিউল।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর আজ মঙ্গলবার রবিউলকে গ্রেপ্তারের খবর জানান। সিআইডির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, রবিউল ও জীবন ছিলেন সহকর্মী। ১০ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকার উত্তরপাড়ায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। এর ১১ দিন পর ২১ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোনার হোসেনপুর থেকে রবিউলকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন।

মুক্তা ধর বলেন, রবিউল তাঁর বড় ভাই মো. শফিকুল আলমের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা পাসের সনদ দিয়ে ঢাকার আশুলিয়ায় ‘এজিস সিকিউরিটি ফোর্স’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে নিরাপত্তারক্ষীর প্রশিক্ষণ নেন। এরপর তিনি ময়মনসিংহের ভালুকায় ‘দ্য অ্যাপারেলস ইস্ট জামিরদিয়া’ নামের একটি পোশাক কারখানায় নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে প্রায় আট মাস কাজ করেন।

সেখান থেকে গাজীপুরের শ্রীপুরে ‘হাজী বাড়ী প্ল্যান্ট’ নামের হাঁস, মুরগির খামারের নিরাপত্তাকর্মীর কাজে যোগ দেন প্রায় দুই মাস আগে। এই খামারেই জীবন চন্দ্র বিশ্বাসের (২৮) সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তাঁরা প্রতিষ্ঠান থেকে বরাদ্দ করা একটি বাসার এক কক্ষেই থাকতেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় জীবন চন্দ্র আসামির কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তিনি সবাইকে বলে দেবেন হুমকিও দেন।

এতে দুজনের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে রবিউল দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত ধারালো ছুরি জীবন চন্দ্র বিশ্বাসের পেটে ঢুকিয়ে দেন। কাছের হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।