খুলনা বিভাগে করোনায় সর্বোচ্চ ৩৯ জনের মৃত্যু

করোনাভাইরাসের প্রতীকী ছবি।
রয়টার্স

খুলনা বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত এটিই বিভাগে এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ নিয়ে বিভাগে মৃত্যুর সংখ্যা ১ হাজার ১০৯। আজ খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে গতকাল বুধবার থেকে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিভাগে নতুন করে ১ হাজার ২৪৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। বিভাগে আরটি-পিসিআর, জিন এক্সপার্ট, র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন—এই তিন পদ্ধতিতে মোট ৩ হাজার ৩০৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ৩৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ। বিভাগে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৫৭ হাজার ৫২০।

আগের দিনের তুলনায় আজ শনাক্তের হার কিছুটা কমলেও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। আগের ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৯ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খুলনা জেলায় ৮ জন রয়েছেন। এদিকে কুষ্টিয়া ও যশোরে সাতজন করে মারা গেছেন। এরপর সাতক্ষীরা ও ঝিনাইদহে চারজন করে রয়েছেন। এ ছাড়া নড়াইলে ও মেহেরপুরে তিনজন করে, চুয়াডাঙ্গায় দুজন ও বাগেরহাটে একজন মারা গেছেন।

বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ১ হাজার ১০৯ জন। বিভাগে করোনায় মোট মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে খুলনা জেলায় ২৬৫, কুষ্টিয়ায় ২১৮, যশোরে ১৫২, চুয়াডাঙ্গায় ৯১, ঝিনাইদহে ৯৪, বাগেরহাটে ৮৭, সাতক্ষীরায় ৭৪, মেহেরপুরে ৫৪, নড়াইলে ৪৭ ও মাগুরায় ২৭ জন রয়েছেন।

এদিকে বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩২৪ জন রয়েছেন কুষ্টিয়ায়। এ ছাড়া বাগেরহাটে ১২৩, চুয়াডাঙ্গায় ৮৬, যশোরে ১৪২, ঝিনাইদহে ৯৭, খুলনায় ২৪২, মাগুরায় ২০, মেহেরপুরে ৬৭, নড়াইলে ৯২ ও সাতক্ষীরায় ৫২ জন রয়েছেন।

তবে মোট শনাক্ত বিবেচনায় জেলাগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে খুলনা। খুলনায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৯৪০ জন। এ ছাড়া বাগেরহাটে ৩ হাজার ৫১৩, চুয়াডাঙ্গায় ৩ হাজার ৪০৫, যশোরে ১২ হাজার ৫১০ , ঝিনাইদহে ৪ হাজার ৪৪২, কুষ্টিয়ায় ৮ হাজার ৪৯, মাগুরায় ১ হাজার ৫৮১, মেহেরপুরে ১ হাজার ৮৮১, নড়াইলে ২ হাজার ৭৬৪ ও সাতক্ষীরায় ৩ হাজার ৪৩৫ জন শনাক্ত হয়েছেন।

পুরো খুলনা বিভাগে হাসপাতাল ও বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১৭ হাজার ৪৮১ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৯০০ জন। বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (রোগনিয়ন্ত্রণ) ফেরদৌসী আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক দিন ধরে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। এখন পর্যন্ত আজ মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশী। শনাক্ত রোগীর চেয়ে সুস্থ হওয়ার হার অনেক কম থাকায় চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। বাসার পাশাপাশি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে না মানলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে বলে মনে করেন তিনি।