গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্র সংকুচিত হচ্ছে

প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণের কারণে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্র সংকুচিত হচ্ছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা শুধু সাংবাদিকদের জন্য নয়, নাগরিকদের জানার অধিকার নিশ্চিত করার জন্যও অপরিহার্য। তাই অবাধ তথ্যপ্রবাহ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি বিচারহীনতার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার জন্য গণমাধ্যমকে উৎসাহিত করা উচিত।
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে গতকাল রোববার আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এ অভিমত দেন। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সুইডেনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আইনের আড়াই শ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করে ঢাকায় সুইডেনের দূতাবাস।
ঢাকায় সুইডেনের রাষ্ট্রদূত ইয়োহান ফ্রিসেল তাঁর বাসায় অনুষ্ঠিত সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন। তিনি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে ভবিষ্যতের পরিস্থিতি ভালো হওয়ার প্রত্যাশা করেন। ইয়োহান ফ্রিসেল বলেন, ‘বর্তমান প্রবণতা নেতিবাচক বলে আমি মনে করি। তবে ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি আশাবাদী।’
ফোয়ো মিডিয়া ইনস্টিটিউটের আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান ইয়োহান রোমারে সুইডেনের আড়াই শ বছরের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিস্থিতি উপস্থাপন করেন। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্র সংকুচিত হচ্ছে এবং বিশ্বজুড়ে এটি নতুন এক হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন সুইডেনের সাংবাদিক মার্টিন শিবে।
মার্টিন শিবে ইথিওপিয়ায় সংঘাতের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে সেখানকার সরকারের রোষের মুখে পড়েন। ফলে তাঁকে ইথিওপিয়ায় ৪৩৮ দিন কারাবরণ করতে হয়েছিল।
আর্টিকেল ১৯-এর বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক তাহমিনা রহমান বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে শারীরিকভাবে গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর হামলার প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কমেছে। তবে পরোক্ষ চাপ বেড়েছে। গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়ার ক্ষেত্রে অলিখিত নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন ধরনের প্রভাব খাটানো হচ্ছে।
বাংলাদেশে সাংবাদিকতার গুণগত উৎকর্ষে ফোয়ো-এমআরডিআই কর্মসূচিতে অর্থায়ন করছে সুইডেন। সেমিনারে পাঁচ বছর মেয়াদি কর্মসূচি উপস্থাপন করেন এমআরডিআইয়ের নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান।