মানুষের আচরণ
গালিগালাজের শব্দ চয়নের মনস্তত্ত্ব
গালাগালির গঠন ও সেটাকে বিটকেলভাবে উপস্থাপনে পুরুষ দিনরাত পরিশ্রম করে। কথিত ‘পৌরুষ’ জাহির করতে গালির অস্ত্রগুলোতে নারীকে টেনে আনে।
ছোটবেলা থেকে গালাগালি শুনতে শুনতে, দিতে দিতে আর দেখতে দেখতে এটা আমাদের অনেকের ভাষার অংশ হয়ে গেছে।
আধুনিক কারখানায় টাই পরা সরদারেরা কিছু কম যান না।
অপরকে গালাগালি করা এখন আমাদের স্বভাব! গালাগালিমুক্ত মানুষ ক্রমে দুর্লভ হয়ে পড়ছে।
যে যত ‘নিচের’ তাকে তত জোরে আর যে যত ‘ওপরের’ তাকে তত নিচু গলায়, কখনো নিঃশব্দে, কখনো অগোচরে গালাগালি চলেই।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি একটি গালি সবার নজর কেড়েছে, তা ছড়িয়ে পড়েছে দাবানলের মতো। অনেকেই নিজেদের ফেসবুক প্রোফাইলে প্রথম ছবির মর্যাদা দিয়ে রেখেছেন গালিটিকে।
কথিত গালিটি প্রথমে একজন নারী কতিপয় পুরুষ দুর্বৃত্তকে উদ্দেশ করে লিখেছিলেন। তারপর তাঁর সঙ্গে সংহতি জানিয়ে অনেকেই সেই গালি ছড়িয়ে দেন ফেসবুকের পাতায় পাতায়।
বলা বাহুল্য, পুরুষের তৈরি প্রায় সব গালি নারীকে লক্ষ্য করেই ছোড়া। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যাঁকে গালি দেওয়া হয়, সম্মানহানির চেষ্টা হয় তাঁর স্বজন কোনো নারীর। তাতেই গালি খাওয়া মানুষের চোট লাগে বেশি। এই মনস্তাত্ত্বিকতা থেকেই কথিত গালির শব্দ চয়ন হতে পারে।
গালি আর জিদানের ঢুঁস
ফ্রান্সের কৃতী খেলোয়াড় জিনেদিন জিদানের কথাই বলা যাক। জিদান ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচে ১১০ মিনিটের মাথায় ইতালির রক্ষণভাগের খেলোয়াড় মার্কো মাতেরাজ্জির বুকে মাথা দিয়ে ঢুঁস মারার অপরাধে লাল কার্ড দেখেন। ঘটনার শুরু হয় জিদান ও মাতেরাজ্জির মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের মধ্য দিয়ে। জিদান যখন চলে আসছিলেন, তখন তাঁকে উদ্দেশ করে মাতেরাজ্জি আবার ‘কিছু কথা’ বলেন। সেসব ‘কিছু কথা’ ছিল সাবধানে উচ্চারিত ‘মা-বোন’ তুলে কিছু গালি।
ফ্রান্স তখন ১-০ গোলে এগিয়ে, জিদান ক্রমেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছিলেন। চটিয়ে মাথা গরম করে দিয়ে তাঁকে মাঠের বাইরে সরিয়ে দেওয়ার একটা পথ খুঁজতেই কি মাতেরাজ্জির এই গালাগালি?
জিদানের দুর্বলতা সব খেলোয়াড়েরই জানা ছিল। মা, বোন বা স্ত্রীকে নিয়ে কোনো বাজে কথা তাঁর সহ্য হয় না। গালি দিলে তিনি খেপে যান। কথিত আছে, ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে এ রকম গালাগালির কৌশলেই ফল পেয়েছিলেন সৌদি অধিনায়ক ফুয়াদ আমিন। সেবার ফ্রান্স-সৌদি আরব ম্যাচে ফুয়াদ আমিনকে থুতু দেওয়ার ‘অপরাধে’ জিদানকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেওয়া হয়, নিষিদ্ধ করা হয় পরের দুই ম্যাচের জন্য। এ সময় যাঁরা জিদানের পাশে ছিলেন তাঁদের দাবি, সৌদি অধিনায়ক খেলার মধ্যে জিদানকে উদ্দেশ করে বর্ণবাদী গালি দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান–এর এক প্রতিবেদনে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। তবে তারা নিজেরা এ দাবির সত্য–মিথ্যা যাচাই করতে পারেনি।
যাঁরা আরবমুলুকে কাজ করেছেন, তাঁরা জানেন আরবিতে মা তুলে গালি দেওয়ার কত শত গায়ে জ্বালা ধরানো তরিকা আছে। ভাষার কারণে অনেক গালির মানে আমাদের বোধগম্য হবে না। হাসি হাসিমুখে হায়েনার মতো ভয়ংকর সেসব গালি হজম করতে হয় না বুঝে। কিন্তু আলজেরিয়ায় জন্ম নেওয়া জিদান আরবি বোঝেন। আরবি গালি তাঁর হজম হয়নি। থুতু ছিটিয়ে দেন সৌদি অধিনায়কের দিকে।
ইতালির মাতেরাজ্জি ২০০৬-এর ফুটবল বিশ্বকাপে ফুয়াদ আমিনের ফর্মুলা ব্যবহারের সময় হয়তো ভেবেছিলেন জিদানের প্রতিক্রিয়া থুথুটুতু ছিটানোর মধ্যেই থাকবে। কিন্তু সেবার পেছন থেকে দেওয়া গালি শোনার পর জিদান হঠাৎ করে ঘুরে দাঁড়ান, কিছুটা এগিয়ে গিয়ে সরাসরি মাতেরাজ্জির বুকে মাথা দিয়ে মারেন এক ঢুঁস। ব্যস লাল কার্ড, জিদান মাঠের বাইরে। টেলিভিশনে দর্শকেরা সবাই ঢুঁস দেখল, বুক চেপে ধরে মাতেরাজ্জির মাটিতে পড়ে যাওয়াও দেখল, গালাগালি অবশ্য দেখার বিষয় নয়, শোনার বিষয়। ক্যামেরা এড়িয়ে গালিগালাজ করা যায়, নিরপেক্ষ সাক্ষী থাকে না।
ওই ঘটনায় অবশ্য জিদানের বক্তব্য পরে আমলে নিয়ে ফুটবলের বৈশ্বিক সংস্থা ফিফা ন্যায়বিচারের স্বার্থে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্তের পর ফিফা মাতেরাজ্জির বিরুদ্ধে ৪ হাজার ১১৭ ডলার ক্ষতিপূরণ ধার্য করে এবং দুই ম্যাচের জন্য তাঁকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। কিন্তু জিদানের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জেতা হয়নি।
গালির কারণে খুন, আন্দোলন
চট্টগ্রামের এক খুনের কিনারা করতে গিয়ে গত বছরের আগস্ট মাসে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানিয়েছিলেন, কিশোর রাসেলকে খুন করে তার বন্ধু হাসান। দুই বন্ধুর মধ্যে কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে হাসানকে মা তুলে গালি দেয় রাসেল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে হাসান। পরে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় হাসান।
গালিকে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালের মার্চে তুলকালাম কাণ্ড হয় রাজশাহী কলেজের মুসলিম হোস্টেলে। হোস্টেলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন। তিনি ছাত্রদের সঙ্গে মানবিক ব্যবহার করেছেন, এমন কোনো রেকর্ড ছিল না। তবে শিক্ষার্থীরা সেসব নিয়ে কখনো টুঁ–শব্দও করেননি। গোল বাধল শিক্ষার্থীকে মা তুলে গালি দেওয়া নিয়ে।
ঘটনার পর বিচারের আশায় অধ্যক্ষের বাসভবন ঘেরাও করেন মহাক্ষিপ্ত শিক্ষার্থীরা। অনেক কষ্টে শেষ পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন। ওয়াদা করেন হোস্টেলের সব সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি গালি দেওয়া শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আশ্বস্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা হোস্টেলে ফিরে যান।
অনেক ক্ষোভ–বিক্ষোভ থাকলেও উপাচার্য খোন্দকার নাসির উদ্দিন যেভাবেই হোক গোপালগঞ্জে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন চালিয়ে নিচ্ছিলেন। কিন্তু গোল বড় গন্ডগোলে রূপ নেয় সেদিন, যেদিন (আগস্ট, ২০১৯) তিনি শিক্ষার্থীদের ‘বাবা-মা তুলে’ গালি দিলেন এবং সেসব গালির অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলো। শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে উপাচার্যকে অপসারণ করার সুপারিশ করে।
গালাগালি কি পুরুষের সৃষ্টি
ক্ষমতা আর দর্প পুরুষের করতালগত। কথায় কথায় সেটা তারা প্রদর্শনের লোভও সামলাতে পারে না। মানুষকে অপমান আর অপদস্থ করার হাতিয়ার এই গালাগালির গঠন ও সেটাকে বিটকেলভাবে উপস্থাপনে পুরুষ দিনরাত পরিশ্রম করে। তারা তাদের কথিত ‘পৌরুষ’ জাহির করার জন্য গালির অস্ত্রগুলোতে নারীকে টেনে আনে।
পুরুষ কোনো পুরুষকে গালি দিচ্ছে, কিন্তু আসলে হেয় করছে কোনো নারীকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেটা মায়েদের, কখনো বোনেদের। ‘ইতর’ কোনো প্রাণীর বাচ্চা যখন কোনো ব্যক্তিকে বলা হয়, তখন সেই বাচ্চাটার জন্মদানকারী মাকে যে ‘ইতর’ প্রাণী বলা হচ্ছে, সেটা কি নিছক অজ্ঞানতা, নাকি নারীর প্রতি পুরুষের আজন্ম লালিত অবজ্ঞা, অবহেলা আর নির্যাতনের ‘হার্ডডিস্কে’ ছাপানো ‘লিটারেচার’?
অনেক গালি আছে, যা যাকে দেওয়া হচ্ছে, তার কোনো অকল্যাণ বা শারীরিক নিগ্রহের বাণী তাতে নেই। বরং তার মা বা বোনের জন্য নিগ্রহের উপাদান রয়েছে। নিরুপায় নারী যখন দুর্বৃত্ত পুরুষকে বাধ্য হয়ে কোনো গালি দেন, তখন সেই পুরুষের উদ্ভাবিত গালির ওপরেই তাঁকে নির্ভর করতে হয়।
কেন আমরা গালাগালি করি
মনের মধ্যে জমে থাকা ক্ষোভের মেঘ থেকে গালি নাকি বৃষ্টি হয়ে ঝরে। বৃষ্টি হয়ে গেলে আকাশ যেমন পরিষ্কার হয়ে যায়, তেমনি নাকি গালি দিলে মনের ক্ষোভ কমে যায়। ঝেড়ে গালি দিলে নাকি রাগ-কষ্ট-বেদনার উপশম ঘটে, মানুষ আত্মপ্রশস্তি লাভ করে।
তবে গালাগালির উদ্দেশ্য কিন্তু খুব পরিষ্কার, অপর পক্ষকে আঘাত করা, অপমান করা, ছোট করা! অনেকেই এটা দাবিয়ে রাখার কৌশল হিসেবে ব্যবহার করেন। বলেন, গালাগালি না করলে শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। তাঁদের ধারণা, যে যত খিস্তি করতে পারে, গালি দিতে পারে, সে তত সার্থক কর্মী প্রশাসক। চা–বাগানের সরদারদের গালাগালির অভ্যাসের কথা অনেকেই জানি। কিন্তু আধুনিক কারখানায় টাই পরা সরদারেরা কিছু কম যান না।
গালির বিনিময়ে ভাঙা প্লেট ফিরে আসবে না, যানজট কমবে না, কাদা-পানি ছিটিয়ে দেওয়া গাড়ি থামবে না, গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সিএনজিচালিত অটোরিকশা একচুলও সরবে না, বসের খাসলত বদলাবে না—এসব জেনেও আমরা গালি দিই। গৃহকর্মীকে, ট্রাফিক পুলিশকে, অন্য গাড়ির চালককে, গরিব রিকশাওয়ালাকে, রেফারি-আম্পায়ারকে, এমনকি অফিসের বসকেও গালি দিতে আমাদের বাধে না। যে যত ‘নিচের’ তাকে তত জোরে আর যে যত ‘ওপরের’ তাকে তত নিচু গলায়, কখনো নিঃশব্দে, কখনো অগোচরে গালাগালি চলেই।
গালির রকমফের
গালাগালি হতে পারে সামান্য বিদ্রূপাত্মক, আবার মহা অকথ্য। নির্ভর করে পারিপার্শ্বিকতা, প্রতিপক্ষের ক্ষমতা আর মনের অবস্থার ওপর। গালিকে অনেকে ভদ্র, অভদ্র, কথ্য, অকথ্য, সহ্য, অসহ্য ইত্যাদি শ্রেণিবিন্যাস করেন।
বুদ্ধদেব বসু তাঁর একটা গল্পে বড় বোনের ওপর অসন্তুষ্ট ছোট বোনের রাগ প্রকাশের জন্য একটা ভদ্র গালি খুঁজতে গিয়ে বড় বিপদে পড়েছিলেন। শেষে কোনো উপায় না পেয়ে বুদ্ধদেব অসন্তুষ্ট ছোট বোনকে দিয়ে বলান ‘দিদি তুমি তুই’। ছোট বোন তাতে একটু হলেও বড় বোনকে তার উচ্চ স্থান থেকে সরাতে পেরেছিল বৈকি। একটা সময় ছিল যখন মা-বাবার কাছে বড় ভাইবোনেরা ছোটদের সম্পর্কে হরদম এই অভিযোগ করত ‘ও আজকেও আমাকে তুই বলেছে’। তুই বললে যে তার বড় ভাইবোনকে আহত করা যায়, টেনে তার সমান বা নিচে নামানো যায়, এই বোধটা পরিবার থেকেই শিশু শিখে ফেলে, ব্যবহার করতে থাকে।
কেউ যখন বলে অমুকে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছে, তখন কি মনে হয় কথ্য ভাষার গালিও আছে, যাতে তার খুব একটা আপত্তি ছিল না। ‘গালি দেবে দাও, বাপ–মা তুলে গালি দেওয়ার কী ছিল’ এ রকম বক্তব্য এটাই ইঙ্গিত করে যে কিছু গালি দুরস্ত বা গ্রহণযোগ্য, কিছু বেদুরস্ত বদকথা। অনেকে এমনও বলে ‘এ রকম গালিগালাজ না করে আমাকে দু–ঘা লাগিয়ে দিত, সেটা বরং সহ্য হতো।’ অতএব নানা মাত্রার আর রঙের গালি আমরা সহ্য-অসহ্যের সীমা দিয়ে সাজিয়ে নিয়েছি।
ছোটবেলা থেকে গালাগালি শুনতে শুনতে, দিতে দিতে আর দেখতে দেখতে এটা আমাদের অনেকের ভাষার অংশ হয়ে গেছে। পরিণত হয়েছে নিত্যদিনের স্বাভাবিক আচরণের লেবাসে। পান থেকে চুন খসলে, ছোটখাটো ভুল বা ঝগড়া থেকে বড় ভুল বা ঝগড়া পর্যন্ত যেকোনো কারণে একে অপরকে গালাগালি করা এখন আমাদের স্বভাব! গালাগালিমুক্ত মানুষ ক্রমে দুর্লভ হয়ে পড়ছে।
শুদ্ধাচার কৌশল ও আমাদের শুদ্ধাচার
‘সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল’ শিরোনামে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল ২০১২ সালে মন্ত্রিসভা অনুমোদন করে। রাষ্ট্রীয়, অরাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের আওতার মধ্যে রাখা হয়েছে। সব ক্ষেত্রে সহনশীলতার বিকাশ ও চর্চাকে উৎসাহিত করা এই শুদ্ধাচার নীতি কৌশলের অন্যতম লক্ষ্য। এতে পরিবার থেকে নৈতিকতার চর্চা, তথা মানুষকে অবহেলা, অবজ্ঞা না করার শিক্ষা ও তার অনুশীলনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বারবার।
শুদ্ধাচার নীতিমালায় যে ১৯টি সূচকের কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সূচক হচ্ছে সহকর্মী ও সেবাগ্রহীতার সঙ্গে আচরণ সম্পর্কিত। প্রতিবছর সরকারের শুদ্ধাচার পুরস্কারপ্রাপ্ত কর্মচারীদের অন্য গুণাবলির সঙ্গে এই বিষয়গুলো খুঁটিয়ে দেখার কথা।
লেখক: গবেষক nayeem5508@gmail.com