গুগল-ফেসবুকের বকেয়াসহ রাজস্ব আদায়ে নির্দেশ

সুপ্রিম কোর্ট
ফাইল ছবি

গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব, ইয়াহু, আমাজনসহ অন্যান্য ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজ্ঞাপন, ডোমেইন বিক্রি ও লাইসেন্স ফিসহ সব ধরনের রাজস্ব এবং বকেয়া রাজস্ব আদায় করতে নির্দেশসংক্রান্ত হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ১৪৫ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশ করা হয়।

দেশীয় বিজ্ঞাপন প্রচার ও ডোমেইন বিক্রি করে গুগল, ইয়াহু, আমাজন, ইউটিউব, ফেসবুকসহ এ ধরনের অনলাইনভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম যে আয় করছে, তার বিপরীতে রাজস্ব আদায়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের ছয় আইনজীবী ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল হাইকোর্টে একটি রিট করেন। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ১২ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল দেন। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত বছরের ১১ নভেম্বর বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেন।

রায়ে বলা হয়, ২০১২ সালের মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইনের ৪ ধারা অনুসারে গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব, ইয়াহু, আমাজনসহ অন্যান্য ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মূসক নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। ১৯৮৪ সালের ইনকাম ট্যাক্স অর্ডিন্যান্সের ৭৫ ধারা অনুসারে গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব, ইয়াহু, আমাজনসহ অন্যান্য ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে বাধ্য।

রায়ে উল্লেখ করা হয়, গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব, ইয়াহু, আমাজনসহ অন্যান্য ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজ্ঞাপন, ডোমেইন বিক্রি, লাইসেন্স ফিসহ সব ধরনের লেনদেন থেকে মূসক, টার্নওভার কর ও সম্পূরক শুল্ক, ধারা ১৫–এর অধীনে আরোপিত মূল্য সংযোজন কর, আয়কর প্রদানসহ সব ধরনের রাজস্ব আদায় এবং সব ধরনের বকেয়াসহ রাজস্ব আদায়ে বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হলো।

একই সঙ্গে ছয় মাস পর পর গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব, ইয়াহু, আমাজনসহ অন্যান্য ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজ্ঞাপন, ডোমেইন বিক্রি, লাইসেন্স ফিসহ সব ধরনের লেনদেন থেকে মূসক, টার্নওভার কর ও সম্পূরক শুল্ক, ধারা ১৫–এর অধীন আরোপিত মূল্য সংযোজন কর এবং আয়কর প্রদানসহ সব ধরনের বকেয়া রাজস্ব আদায়ের বিবরণী হলফনামা আকারে দাখিল করতে রাজস্ব বোর্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়ায়েস আল হারুনী। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে আইনজীবী শামীম খালেদ আহমেদ শুনানিতে ছিলেন।