গেজেট প্রকাশের আগে উড়ানো যাবে না ড্রোন

ফাইল ছবি
প্রথম আলো

ড্রোন উড্ডয়ন নীতিমালার গেজেট প্রকাশের আগে ড্রোন নিবন্ধন ও ওড়ানো যাবে না। বুধবার বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো তথ্যের প্রয়োজন হলে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিভিল অ্যাভিয়েশন অনুবিভাগে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ড্রোন উড্ডয়ন কার্যক্রম সমন্বয় ও নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখ মন্ত্রিসভায় ‘ড্রোন নিবন্ধন ও উড্ডয়ন নীতিমালা ২০২০’ অনুমোদিত হয়েছে। মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত এ নীতিমালার বিষয়ে পত্র-পত্রিকায় ড্রোন উড্ডয়ন নিয়ে বিভিন্ন খবর প্রচারিত হচ্ছে। প্রকাশিত খবরে কিছু তথ্যগত ভুল থাকায় এ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। সে জন্য এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মতামত জানিয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, ‘ড্রোন নিবন্ধন ও উড্ডয়ন নীতিমালা ২০২০’ মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে কিন্তু তা গেজেট আকারে এখনো প্রকাশিত হয়নি। নীতিমালার গেজেট প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দপ্তর/ সংস্থার প্রস্তুতি গ্রহণের পূর্বে এ নীতিমালার আওতায় কোনো ব্যক্তি/সংস্থা ড্রোন নিবন্ধন ও উড্ডয়ন করতে পারবে না।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোনো কোনো পত্রিকায় ‘ক’ শ্রেণির ড্রোন ৫০০ ফুট উচ্চতায় উড্ডয়নের যে তথ্য প্রদান করা হয়েছে তা ভুল। নীতিমালা অনুযায়ী ‘ক’ শ্রেণির ড্রোন হচ্ছে বিনোদনের কাজে ব্যবহৃত ড্রোন। এ শ্রেণির ড্রোন বিমানবন্দর অথবা কেপিআই-এর ৩ কিলোমিটারের মধ্যে উড্ডয়ন করতে পারবে না। তবে ৩-৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ৫০ ফুট উচ্চতায় এবং ৫ কেজির কম ওজনের ড্রোন উড্ডয়ন করতে পারবে। বিমানবন্দর অথবা কেপিআই-এর ৫ কিলোমিটারের বাইরে ১০০ ফুটের বেশি উচ্চতায় এবং ৫ কেজির বেশি ওজনের ড্রোন নিবন্ধন ও অনুমতি ছাড়া উড্ডয়ন করা যাবে না। এ ছাড়া ৫০ থেকে ১০০ ফুটের বেশি উচ্চতায় উড্ডয়ন করতে সক্ষম এবং ড্রোনের ওজন ৫ কেজির বেশি হলে “ঘ” ব্যতীত যে কোনো শ্রেণির ড্রোন উড্ডয়নের জন্য বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ থেকে নিবন্ধন এবং অনুমতি গ্রহণের প্রয়োজন হবে।