গোবিন্দ প্রামাণিকের বক্তব্য ‘রহস্যজনক’

গত শুক্রবার ডিআরইউতে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেছিলেন, দুর্গাপূজার সময় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের বিষয়ে কূটনৈতিক প্রেক্ষাপট থেকে রাষ্ট্রের মুখপাত্র হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ‘কৌশলগত’ বক্তব্য দিয়েছেন
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ প্রামাণিকের বক্তব্যকে ‘কৌতুককর’ ও ‘রহস্যজনক’ বলেছে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সংগঠনগুলোর ঐক্যমোর্চা। শনিবার বিকেলে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ঐক্যমোর্চার সভার সিদ্ধান্তে এ কথা বলা হয়।

এর আগে গত শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের পক্ষে গোবিন্দ প্রামাণিক বলেছিলেন, দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের আবেগকে পুঁজি করে দুষ্ট চক্র নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে চায়। চক্রটি স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় রাষ্ট্রবিরোধী নীলনকশা বাস্তবায়নে একের পর এক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

ঐক্যমোর্চার সভার গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়, গোবিন্দ প্রামাণিক প্রতিক্রিয়াশীল মহলের ইন্ধনে হিন্দুদের আবেগকে পুঁজি করে সংকীর্ণ স্বার্থ চরিতার্থের অসৎ উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের একাংশের নামে কাজ করছেন। দুই দশক ধরে তিনি মেকি হিন্দুত্ববাদের প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। মানবাধিকারের আন্দোলনকারী বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদকে সরকারি লেজুড় সংগঠন ও নেতৃত্বকে ‘সরকারি দালাল’ বলতেও তাঁর বিবেকে বাধে না। এ ছাড়া সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় গত ২৮ অক্টোবরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যকে ‘কৌশলগত’ বক্তব্য বলে তিনি উল্লেখ করেছেন, যা ভূতের মুখে রাম নাম। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বিবৃতির ব্যাখ্যা জাতি তাঁর কাছেই আশা করে।

ঐক্যমোর্চার প্রধান সমন্বয়ক রানা দাশগুপ্তের সভাপতিত্বে সভায় আলোচনা করেন কাজল দেবনাথ, জে এল ভৌমিক, তাপস কুমার পাল, মিলন কান্তি দত্ত, নির্মল রোজারিও, ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়, হীরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, জগৎগুরু গৌরাঙ্গসহ সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্বকারী বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।

অন্যদিকে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের পক্ষে গোবিন্দ প্রামাণিকের দেওয়া বক্তব্যের সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের কোনো সম্পর্ক নেই বলে বিবৃতি দিয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সোনালী দাস ও সাধারণ সম্পাদক এম কে রায়। এতে বলা হয়, গোবিন্দ প্রামাণিককে দুই বছর আগে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট থেকে বহিষ্কার করে মহাসচিব পদ বিলুপ্ত করে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।