ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রামে দুই লাখ টাকা ঘুষ চাওয়ায় পুলিশের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা হয়েছে। আদালত অভিযোগটি অনুসন্ধান করে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারকে নির্দেশ দেন।
আজ বৃহস্পতিবার মহানগর দায়রা জজ এস এম মজিবুর রহমানের আদালতে মামলাটি করেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক এজাহার মিয়া।
অভিযোগ ওঠা তিন পুলিশ কর্মকর্তা হলেন নগর পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) কুসুম দেওয়ান, নগর সদরঘাট ট্রাফিক কার্যালয়ের ট্রাফিক পরিদর্শক মীর নজরুল ইসলাম ও সার্জেন্ট প্রশাসন মামুন উল হক।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে মহানগর দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ ‘প্রথম আলো’কে বলেন, ‘আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন ।’
বাদী অভিযোগ করেন, আসামিরা সরকারি কর্মচারী হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবি, জাল জালিয়াতির মাধ্যমে বাদীর গাড়ির ইঞ্জিন ও চেসিস নাম্বার পরিবর্তন করেছেন।
বাদী অভিযোগে উল্লেখ করেন, তাঁর ব্যবহূত সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি ২০০৯ সালের ৮ জানুয়ারি নগরের পাহাড়তলী বার কোয়ার্টার এলাকা থেকে চুরি হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে জিডি নেয়। একই বছরের ২৩ এপ্রিল নগরের ওয়াসা মোড়ে একই নম্বরের (চট্ট মেট্রো-২৯৫৭) সিএনজিচালিত দুটি অটোরিকশা দেখতে পেয়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট ফিরোজ কবির গাড়ি দুটি আটক করে ট্রাফিক অফিসে নিয়ে যান। একটির মালিক দাবিদার জনৈক ফাতেমা বেগম গাড়িটি নিয়ে যান। অপর গাড়িটি বাদীর হারিয়ে যাওয়া গাড়িটি বলে বিআরটিএতে কাগজপত্র দেওয়া হলেও পরস্পর যোগসাজশে তিন আসামি দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা দিতে না পারায় তাঁরা বাদীর গাড়ির ইঞ্জিন ও চেসিস নাম্বার পরিবর্তন করে জালিয়াতির মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় বর্তমানে জামিনে আছেন বাদী এজাহার মিয়া। মামলায় পাঁচজনকে সাক্ষী রাখা হয়েছে। মামলায় ঘটনার সময় দেখানো হয় ২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সালের জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন সময়।
জানতে চাইলে উপকমিশনার ট্রাফিক কুসুম দেওয়ান ফোন ধরেননি। ট্রাফিক সার্জেন্ট মামুন উল হক বলেন, ‘কারও কাছে আমি ঘুষ চাইনি। এজাহার মিয়া নামেরও কাউকে চিনি না। আমি খোঁজ নিচ্ছি।’