ঘূর্ণিঝড় যশ বাংলাদেশ উপকূলে আসবে ২৬ মে

বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ তৈরি হয়ে তা দ্রুত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
ফাইল ছবি

দিনের বেলা রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকাজুড়ে বয়ে যাচ্ছে দাবদাহ। প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করছে জনজীবন। সন্ধ্যা নামতেই অনেক জায়গায় শুরু হচ্ছে কালবৈশাখী আর বজ্রপাত। এই পরিস্থিতির মধ্যে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তা আরও পরিণত হয়েছে। শনিবারের মধ্যে বঙ্গোপসাগরের আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি এলাকায় একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে, লঘুচাপটি আগামীকাল রোববার নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ২৫ মে রাতে বা ২৬ মের মধ্যে সেটি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে আঘাত করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টির নাম রাখা হয়েছে ‘যশ’। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা থেকে ঝড়ের আগাম এই নাম দেওয়া হয়। ঝড়টির নাম ঠিক করেছেন ওমানের আবহাওয়াবিদেরা। ওমানের ভাষায় যশ মানে হচ্ছে হতাশা।

আরও পড়ুন

এদিকে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টির আগের দুই দিন, অর্থাৎ শনিবার ও রোববার রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকাজুড়ে ভ্যাপসা গরমের অনুভূতি বাড়বে। দিনের বেলা তাপমাত্রা বেড়ে দাবদাহ বিস্তৃত হতে পারে। ফলে গরমের কষ্টে ভুগতে হবে দেশবাসীকে। তবে ২৫ মে থেকে মেঘ ও বৃষ্টি বাড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে তাপমাত্রা কমে যাবে এবং তাতে গরমের কষ্ট কমতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান এ ব্যাপারে প্রথম আলোকে বলেন, শনিবারের মধ্যে লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছে আসতে পারে। তবে এটি কেমন শক্তি নিয়ে আঘাত করবে, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন

শুক্রবার দেশের সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল খুলনায়—৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীর তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রাম ও ঢাকা

বিভাগে মৃদু থেকে মাঝারি দাবদাহ বয়ে গেছে; যা শনিবারেও অব্যাহত থাকতে পারে। একই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও কালবৈশাখী হতে পারে।