চট্টগ্রামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে চট্টগ্রামে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার দুপুরে নগরীর প্রেসক্লাবের সামনে
ছবি: সংগৃহীত

অবিলম্বে সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে চট্টগ্রামে মানববন্ধন করেছেন বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এই শিক্ষার্থীরা বলছেন, মার্কেট-হাটবাজার সব খোলা রেখেছে সরকার। ঈদে লাখ লাখ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করে গ্রামে গেছে। রাস্তাঘাটে, অলিগলিতে মানুষে গিজগিজ করছে। কিন্তু শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হচ্ছে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলে প্রয়োজনে দুই–তিন পালায় তাঁরা ক্লাসে অংশ নিতে প্রস্তুত।

আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলাম। বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাজেশ্বর দাশগুপ্ত, নাসরিন আক্তার, ঋজু লক্ষ্মী, সুখী কুমার, বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইফুর রুদ্র, চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের শিক্ষার্থী প্রান্ত বড়ুয়া, শাহেদুল ইসলাম, সরকারি কমার্স কলেজের রকেট দাশ প্রমুখ।

কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন হুমকির মুখে পড়েছে। দীর্ঘ সেশনজটে ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুই–তিন পালায় ক্লাসে অংশ নিতে চান এই শিক্ষার্থীরা। সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন
ছবি: সংগৃহীত

সরকার করোনার কারণে বারবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বৃদ্ধি করছে। কিন্তু করোনায় কিছুই থেমে নেই। দূরপাল্লার বাস, ট্রেন, লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক কর্মসূচিও বন্ধ নেই। শুধু থমকে আছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী রাজেশ্বর দাশগুপ্ত বলেন, অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। যদি এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তবে সেটি হবে বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা। বেশির ভাগ শিক্ষার্থী দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা থেকে বঞ্চিত। অনলাইনে ক্লাস করার জন্য কেউ মাঠে গিয়েছেন, কেউ আবার গাছের ওপর উঠেছেন। কিন্তু দুর্গম এলাকায় নেটওয়ার্ক পাননি। ফলে অনলাইন ক্লাসের প্রক্রিয়া ‘পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে’। তাই শিক্ষার্থীদের জন্য দ্রুত টিকার ব্যবস্থা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে।