চলে গেলেন কবি কায়সুল হক

কায়সুল হক
কায়সুল হক

চলে গেলেন প্রখ্যাত কবি ও সাংবাদিক কায়সুল হক। আজ শনিবার সকাল সাড়ে সাতটায় রাজধানীর বারিধারার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি ক্যানসার ও ফুসফুসের রোগে (আইএলডি) ভুগছিলেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
কায়সুল হকের ছেলে রবিউল হক প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ১৯৩৩ সালের ২৯ মার্চ কবি কায়সুল হক অবিভক্ত বাংলার মালদহ জেলায় মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শৈশব, কৈশোর ও যৌবন রংপুরে কেটেছে। তবে তাঁর কর্মজীবন কাটে ঢাকায়। তিনি জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রে উপপরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন। ওই পদ থেকেই অবসরে যান তিনি।
সাত ভাই ও তিন বোনের মধ্যে কায়সুল হক ছিলেন সবার বড়। তিন ছেলে ও এক মেয়ের জনক তিনি। সন্তানদের মধ্যে এক ছেলে নজরুল ইনস্টিটিউটে কর্মরত। অন্য দুজনের মধ্যে একজন চিকিৎসক, অন্যজন প্রকৌশলী। একমাত্র মেয়ে অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী।
১৯৫০ সালে ‘আজাদ’ পত্রিকায় কায়সুল হকের প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়। পঞ্চাশের দশকের বিউটি বোর্ডিং সাহিত্য চক্রের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে ‘কলম দিয়ে কবিতা’ ও ‘শব্দের সাঁকো’ উল্লেখযোগ্য। প্রবন্ধ গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘আলোর দিকে যাত্রা’ ও ‘অনিন্দ্য চৈতন্য’। সম্পাদিত সাহিত্য পত্রিকা হলো ‘অধুনা’, ‘সবার পত্রিকা’, ‘কালান্তর’ ও ‘শৈলী’। কায়সুল হক ড. আসাদুজ্জামান সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও সাদত আলী আখন্দ সাহিত্য পুরস্কার পান।
আজ বাদ আসর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মরহুমের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় জানাজা হবে মিরপুর-১৪ নম্বরের মাদ্রাসা মসজিদে। তাঁকে দাফন করা হবে মিরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।