চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) টি এম মোজাহিদুল ইসলামকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৪ ডিসেম্বর তাঁকে সকাল সাড়ে ১০টায় সশরীরে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ এ আদেশ দেন।
‘চাঁপাইনবাবগঞ্জের এসপি: ডাকাত হাতেনাতে পেলে পিষে মেরে ফেলুন’ শিরোনামে একটি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে এ আদেশ দেওয়া হয়।
টি এম মোজাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে সংবিধানবহির্ভূতভাবে নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়াসহ ওই এলাকার জনগণকে আইন নিজ হাতে নিয়ে বিচারবহির্ভূতভাবে অপরাধীকে মৃত্যু প্রদানে উসকানি দেওয়ায় কেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি আগামী ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে পুলিশের মহাপরিদর্শক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের এসপিকে পৃথকভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে বলেছেন, পুলিশ সুপার নিজে বা তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে প্রতিবেদন দিতে পারবেন।
আদেশের আগে প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু তুলে আদালত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘মগের মুল্লুকের অবস্থা নাকি? দেখেন এসপি সাহেব কী করেছেন? একজন সরকারি কর্মকর্তা কীভাবে এ ধরনের বক্তব্য দেন?’
প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চক্ষু হাসপাতাল চত্বরে ২৫ নভেম্বর চক্ষু শিবিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর আসনের সাংসদ আবদুল ওদুদ। এসপি বলেন, ‘ডাকাত যদি হাতেনাতে পান, তো জলজ্যান্ত ওটাকে পিষে মেরে ফেলেন।’