চাকরিচ্যুতির বৈধতা নিয়ে শরীফের রিটের ওপর শুনানি হতে পারে কাল

হাইকোর্ট ভবন
ফাইল ছবি

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপসহকারী পরিচালক পদ থেকে চাকরিচ্যুতির বৈধতা নিয়ে মো. শরীফ উদ্দিনের করা রিটের ওপর কাল মঙ্গলবার হাইকোর্টে শুনানি হতে পারে।

এর আগে গতকাল রোববার ওই রিট করেন শরীফ। আজ সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটি জমা দেওয়া হয়। আদালত বলেছেন, কাল (মঙ্গলবার) বিষয়টি কার্যতালিকায় আসবে।

পরে শরীফের আইনজীবী মিয়া মোহাম্মদ ইশতিয়াক প্রথম আলোকে বলেন, শুনানির জন্য রিটটি বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ জমা দেওয়া হয়। আদালত বলেছেন, মঙ্গলবার কার্যতালিকায় থাকবে। মঙ্গলবার রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।

এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়। দুদক কর্মচারী বিধিমালার ৫৪ (২) বিধি এবং এই বিধির ক্ষমতাবলে চাকরিচ্যুতির বৈধতা নিয়ে শরীফের করা রিটে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

রিট আবেদনকারী পক্ষ জানায়, ২০০৮ সালের দুদক কর্মচারী বিধিমালার ৫৪ (২) বিধির ক্ষমতাবলে কোনো ধরনের কারণ দর্শানো ছাড়াই শরীফকে অপসারণ করা হয়। এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শরীফ দুদকে আবেদন করেন। এখনো এর জবাব পাননি। এ অবস্থায় ৫৪ (২) বিধি এবং এই বিধির আলোকে শরীফকে চাকরিচ্যুতি-সংক্রান্ত আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করা হয়। কেননা, ওই বিধি ও বিধির ক্ষমতাবলে চাকরিচ্যুতির আদেশ সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ১৩৫ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।

রিট আবেদনকারী পক্ষ জানায়, রিটে ৫৪ (২) বিধি ও বিধির ক্ষমতাবলে ১৬ ফেব্রুয়ারি শরীফকে চাকরিচ্যুতির আদেশ কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি চাকরিচ্যুতির ১৬ ফেব্রুয়ারির আদেশের কার্যকারিতাও স্থগিত চাওয়া হয়েছে। দুদক সচিব, দুদক চেয়ারম্যান, আইনসচিব ও জনপ্রশাসনসচিবকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

এর আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনিরসহ সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী একটি রিট করেন। এতে শরীফ উদ্দিনের চাকরিচ্যুতি ঘিরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ অনুসন্ধানে ‘স্বাধীন কমিটি’ গঠনে নির্দেশনা চাওয়া হয়। এ রিটের ওপর ১০ মার্চ শুনানি শেষে হাইকোর্ট আদেশের জন্য ১৫ মার্চ দিন রেখেছেন।