চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়াতে এক সপ্তাহের আলটিমেটাম

মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন  চাকরিপ্রত্যাশীরা
ছবি: সংগৃহীত

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বাড়ানোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ২৫ জানুয়ারির মধ্যে না নিলে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছে সর্বদলীয় চাকরিপ্রত্যাশী ঐক্য পরিষদ। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

আন্দোলনরত চাকরিপ্রত্যাশীদের সমাবেশে ‘পুলিশের ন্যক্কারজনক হামলা, নারীদের শ্লীলতাহানি ও গ্রেপ্তারের’ প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় পরিষদের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে চার দফা দাবি তুলে ধরেন তাসলিমা লিমা।

তাসলিমা লিমা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। অথচ তিন বছর আগে শিক্ষার্থীদের দেওয়া সরকারের প্রতিশ্রুতি এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত চাকরিপ্রত্যাশীদের বয়সে ছাড় দিয়ে গত বছরের ১৯ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনকে প্রহসনমূলক বলে আখ্যা দেন পরিষদের নেতারা। তাঁরা বলেন, এর মাধ্যমে কেবল ৩০ বছরের বেশি বয়সীরাই উপকৃত হচ্ছেন।

ব্যাকডেটের (পুরোনো তারিখ) মাধ্যমে সব বয়সী শিক্ষার্থী তথা চাকরিপ্রত্যাশীদের ক্ষতিপূরণ সম্ভব নয়। তাই চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিকল্প নেই।

চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে কয়েক বছর ধরে আন্দোলন করছে বিভিন্ন সংগঠনের জোট সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদ। তাদের চার দফা দাবির অন্যগুলো হলো নিয়োগ দুর্নীতি-জালিয়াতি বন্ধ করা, নিয়োগ পরীক্ষার (প্রিলিমিনারি ও লিখিত) প্রাপ্ত নম্বরসহ ফল প্রকাশ, চাকরিতে আবেদনের ফি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা করা ও একই সময়ে একাধিক নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ করে সমন্বিত পরীক্ষার ব্যবস্থা করা।